নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ কিশোর কুমার, মান্না দে,হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপি লাহিড়ী এঁরা সব সঙ্গীত জগতের এক একজন সেলিব্রিটি। এঁরা যখন বেঁচেছিলেন তখন ফাংশনে তাদের গান শোনার জন্য পয়সা খরচ করে টিকিট কাটার হুড়োহুড়ি পড়ে যেতো দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে। ওইসব সেলিব্রিটির কাছে পৌঁছানোর জন্য মানুষ পয়সা খরচ করতেন। কিন্তু যাদের গান শুনে মানুষ তন্ময় হয়ে পড়তেন সেই সেলিব্রিটিরা শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ির একটি মিস্টির দোকানে স্রেফ মিস্টি খাওয়ার জন্য একবার হলেও ঢুঁ মারতেন। কিন্তু কেন? কেন কিশোর কুমার, মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপি লাহিড়ীর মতো প্রয়াত সেলিব্রিটিরা শিলিগুড়ি এলেই ফুলবাড়ির মিস্টির দোকানে একবার হলেও সশরীরে হাজির হতেন?
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়িতে রয়েছে ফুলবাড়িয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বাংলাদেশ থেকে এসে সেই মিস্টান্ন ভান্ডারটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বর্গীয় মনীন্দ্র নাথ ঘোষ। প্রায় সত্তর বছর আগে তিনিই তৈরি করেছিলেন বিশেষ ধরনের মিস্টি, যার নাম দেন লালমোহন।ছানা,আটা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি সেই লালমোহনের টানেই ফুলবাড়ির ওই মিস্টির দোকানে পা রেখেছেন কিশোর কুমার, মান্না দে-র মতো সেলিব্রিটিরা। প্রয়াত মনীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র রতন ঘোষ তাঁর বাবার কাছেই শিখেছিলেন সেই লালমোহন তৈরির কাজ। দুরকম লালমোহন রতনবাবু এখন তৈরি করেন, একটির দাম ১২ টাকা, অপরটির দাম সাত টাকা।রতনবাবু বলেন, মান্না দে তাদের এই বিশেষ মিস্টি লালমোহনের এতই ভক্ত ছিলেন যে শিলিগুড়িতে ফাংশন করতে এলেই লালমোহন কিনে মুম্বাই পাড়ি দিতেন। বহু সেলিব্রিটি সেই দোকানে লালমোহনের টানে হাজির হয়েছেন।আর তার সাক্ষী রতনবাবুর দোকানে বোর্ডের মধ্যে টাঙানো সেলিব্রিটিদের স্বাক্ষর।