শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্মকথায় কলকাতার রাজারহাট এলাকার সঙ্গীত শিল্পী সুচরিতা ভট্টাচার্যের কথা মেলে ধরা হচ্ছে।
আমি শ্রীমতি সুচরিতা ভট্টাচার্য। আমার সঙ্গীত জীবনের হাতেখড়ি আমার মা স্বর্গীয়া শ্রীমতি সুনন্দা ভৌমিকের হাত ধরে। মায়ের কাছেই সঙ্গীতের প্রাথমিক শিক্ষা। তারপর স্বর্গীয়া শ্রীমতি সবিতা ঘোষের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিয়েছি। বর্তমানে শ্রীমতি পিয়ালি বসুর কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত আর শ্রীমতি অবন্তী ভট্টাচার্যের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীত আর শ্রী কৌশিক দে এবং শ্রী সুপ্রতীম চক্রবর্তীর কাছে ব্রম্হ সঙ্গীতের শিক্ষা গ্রহন করছি। ব্রম্হ পরিবারে জন্ম গ্রহনের সুবাদে ছোট থেকেই উপাসনা ও গানের মধ্যে বেড়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন ব্রম্হ সমাজের নানা অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকি। এ ছাড়া ‘সুরের তরী’ নামক একটি সঙ্গীতের দলের সঙ্গে যুক্ত আছি। কলকাতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সরকারি নানা অনুষ্ঠানেও সঙ্গীত পরিবেশন করি। সব শেষে যে দুজনের কথা সব থেকে বলা দরকার তারা হলেন আমার স্বামী শ্রী পার্থপ্রতীম ভট্টাচার্য ও আমার একমাত্র পুত্র শ্রীমান সুপ্রতীম ভট্টাচার্য। এদের উৎসাহ এবং সম্পুর্ন সহযোগিতা না পেলে আমি আজ এতো দুরে এগোতে পারতাম না। ভগবানের কাছে শুধু এটাই চাই, সারাজীবন যেন গানটা গাইতে পারি।
স্বপ্ন নীড় এপার্টমেন্ট, রাজারহাট, নৈ পুকুর, কলকাতা –১৩৫।