শিল্পী পালিত ঃহস্ত শিল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার পথে শিলিগুড়ি আশ্রমপাড়ার স্বাগতা সিনহা। পড়ুন তাঁর এই লেখা–
আমি স্বাগতা সিনহা। খবরের ঘন্টাতে লিখতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।ছোটবেলা থেকেই আমার হাতের কাজের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু আমি আসামে বড়ো হয়েছি,সেখানে সেই সুব্যবস্থা ছিল না। আমার বাবা মা দুজনেই খুব ভাল হাতের কাজ করতেন। বাবা খুব ভাল ছবি আঁকতেন।সেইগুলো ছোটবেলা থেকেই দেখতাম। একটু বড়ো হবার পর নিজের চেষ্টাতেই যতটুকু সম্ভব করতাম। তবে হাতের কাজের সাথে মেশিনে সেলাইয়ের উপর আমার আগ্রহ ছিল বেশি। মায়েরটা দেখে যতটুকু শেখা। তখন খুব ছবি আঁকতাম। এই আঁকা আমায় খুব আনন্দ দিত। এই ছবি আঁকার মধ্যে অনেক ভাব প্রকাশ পেত। রং তুলি হাতে নিলে এই পৃথিবীটা আমার কাছে রঙিন হয়ে উঠত। কিন্তু একটা সময় সব কিছু থেকে আমি বঞ্চিত হয়ে পরি।তবে মন থেকে এই নেশা ছাড়তে পারিনি বলেই আবার এইসবের সাথে জড়িয়ে পরি। যেহেতু আগ্রহটা বরাবরই ছিল তাই শিলিগুড়ি এসে কনিকাদির সন্ধান পাই।ওনার কাছে কিছু কাজ শিখি।এতো বছর এটা নেশাই ছিল কিন্তু এখন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।
এখন বুটিকের কাজ School project painting fabric জুট সব কিছুই করে থাকি। সেই সাথে school এ work shopও করি। মনে মনে ইচ্ছে তো হয় অনেককিছুই করার।একটা Exhibition করার ইচ্ছে। অনেকে জানে আমার কাজের ব্যাপারে। যারা জানেন না আমি এই Exhibition এর মাধ্যমে আমার এই কাজগুলো পৌছে দিতে চাই তাদের কাছে।একটা বুটিক খোলার ইচ্ছে অনেকদিন ধরেই, জানি না হবে কিনা। যেহেতু আমি সেলাই করি তাই সেলাইয়ের পাশাপাশি এই হাতের কাজ গুলোও রাখতে চাই। এই কাজ গুলো দেখে যাতে সবাই অনুপ্রাণিত হয় । আমি চাই আমার মতো অনেক বৌ-মেয়ে যারা ঘরে বসে আছেন তারা এইসব কাজের সাথে যুক্ত হোন। অনেক ফেলে দেওেয়া জিনিস যেগুলো কাজে আসে না সেই গুলো ব্যবহার করে কত কি বানানো যায়! তাতে অনেক আনন্দও পাবেন আর রোজগারের পথও খুলবে।নিজে আনন্দ পাওয়া বা অপরকে আনন্দ দেওয়ার মধ্যে যা সুখ তা অনায়াসেই খুঁজে পাওয়া যায় এই কাজের মাধ্যমে।।
আশ্রম পাড়া। শিলিগুড়ি