শিলিগুড়ি শিবমন্দিরে শ্যামানন্দ ব্রহ্মচারীর মৃত্যুতে শোক

সজল কুমার গুহ ( সম্পাদক,  আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সমিতি,শিলিগুড়ি শাখা ) : ওঁম শান্তি, ওঁম শান্তি ওঁম শান্তি।গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে শিলিগুড়ি  শিবমন্দিরস্থিত মোহনানন্দ সেবাশ্রমের সাধুবাবা শ্রী শ্যামানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ আজ(২৬/৫/২০২১) বুধবার সকালে দুর্ঘটনায় আকস্মিকভাবে পরলোকগমন করেন। তাঁর   হঠাৎ চলে  যাওয়ায় এলাকার বহু  ভক্ত তথা এই অঞ্চলের সাধারণের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আমি নিজে এই খবর শোনার পর কিছু সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। একজন সাহিত্য সংস্কৃতি প্রেমী ছিলেন তিনি , আশ্রমে আমরা কয়েকবার অনুষ্ঠান করি মহানন্দে। এছাড়া পূজাপাঠ ইত্যাদিতেও   যোগ দিতাম অনেকের সাথে।
আমরা একজন সত্যিকারের” মানুষ ভগবান ” কে হারালাম, আশ্রমের কাজকর্ম সুচারুভাবে তত্ত্বাবধান করার বাইরে তাঁর এই জীবন ছিল গরীব দুঃখী অসহায় নিপীড়িতদের জন্য উৎসর্গীকৃত ।বেশ কিছু ঘটনার সাক্ষী আমি ছিলাম।
পরম দয়ালের রাতুল চরণে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি একান্তভাবে। জয়গুরু।
শ্যামানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ,মোহনানন্দ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম, শিবমন্দিরে ছিলেন। মানছি আজ একটা পবিত্র দিন, ভগবান বুদ্ধদেবের শুভ জন্মদিন কিন্তু এমন পবিত্র দিনে একটা “মানুষ ভাগ্যবান” এই ভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবিনি। প্রথম শ্বেতা করের থেকে খবর পেয়ে বিশ্বাস করুন আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই কিছু সময়ের জন্য।
সাধুবাবা ছিলেন গরীব অসহায়দের ভগবান, আমাদের কাছে জ্ঞানের  ভান্ডার।সৌম্য দর্শন,ধীর স্থির, সদালাপী, অমায়িক ব্যবহার, দারুণ গুরুভক্তি, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আরও অনেক গুণে গুণান্বিত। সাধুবাবার এই ভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছি না।
হাসপাতালে অনেকের বুকফাটা কান্না অনেকের মতো আমার মনিকোঠায় একটা বড় দাগ কেটে যায়। একজন নিঃস্বার্থ মানুষের বিদায় শিবমন্দির সংশ্লিষ্টদের কাছে একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল।ঈশ্বরের কাছে সাধুবাবার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি একান্তভাবে।