মিতালি ভট্টাচার্য ঃঃ
রেইকি শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত হলেও এই সুপ্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা এখনো অন্ধকারে। আমাদের মনের মধ্যে রেইকিকে নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আসে, আজ আমরা সেগুলোকে নিয়েই আলোচনা করছি—
প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমাদের মনে উঁকি মারে সেটি হল রেইকি কি? রেইকি আসলে একটি জাপানি শব্দ। রেই শব্দটির অর্থ হল ইউনিভার্সাল, কি শব্দটির অর্থ হল লাইফ ফোর্স এনার্জি। সুতরাং রেইকি মানে হলো মহাজাগতিক প্রাণশক্তি। আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, নেচারোপ্যাথি, আকুপাংচার, আকুপ্রেশার ইত্যাদির মতই আরেকটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হল রেইকি। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না, কোন যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয় না, শুধু নিজের দুটো হাত ব্যবহার করা হয় এই চিকিৎসায়। রেইকি হলো পুরোপুরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি। যেহেতু এই চিকিৎসা হাতের দ্বারা স্পর্শ করে করা হয়, তাই একে স্পর্শ চিকিৎসা বা টাচ থেরাপি বলে।
অনেকেই আমার কাছে জানতে চান যে রেইকিতে কি শারীরিক ও মানসিক দু রকম সমস্যাই সারানো যায়? আমার উত্তর– অবশ্যই সারানো যায়। রেইকির কাজের পরিধি অনেক অনেক বেশি। 1) রেইকি মনের ইচ্ছার ওপর কাজ করে 2) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পরিকল্পনা সফল করতে সাহায্য করে 3) শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে, পরিবারকে, আত্মীয়পরিজন, বন্ধুবান্ধব এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে যখন কেউ সুস্থ রাখতে সক্ষম হয় তখন তার ইচ্ছা শক্তি অনেক গুন বেড়ে যায়। তার এনার্জি লেভেল আগের তুলনায় চার গুণ বেড়ে যায়। স্বভাবতই এত পরিবর্তন যখন কারো জীবনে আসে তার বিস্তর সুপ্রভাত কর্ম জগতে পড়ে এবং এমনকি ঘরে বাইরে সবার সঙ্গে তার সম্পর্কের বন্ধনও দৃঢ় হয়, মধুর হয়। তাই রেইকি হলো এক সর্বাঙ্গীণ চিকিৎসা পদ্ধতি। রেইকি আমাদের সেই জীবনের সন্ধান দেয় যে জীবনে আমরা লাভ করতে পারি পরম আকাঙ্ক্ষিত প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি।( লেখিকা প্রখ্যাত রেইকি বিশেষজ্ঞ, তার রেইকির চিকিৎসা পেয়ে বহু মানুষ উপকৃত।)