অভিজিৎ হাজরা * হাওড়া :-বিশ্বব্যাপী করোনা প্রতিরোধে এরাজ্যে চলছে চতুর্থ দফায় লকডাউন। মানুষের হাতে সঞ্চিত অর্থ নিঃশেষ। চতুর্থ দফায় লকডাউন চলাকালীন রাজ্য সরকার হাওড়া জেলার কিছু কিছু জায়গায় লকডাউন শিথিল করেছে। দোকান-বাজার চালু হয়েছে। বাজার চালু হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠেছিল। সেই হাসির রেখা মুছে দিল আম্ফান ঝড়।
আম্ফান ঝড়ের তান্ডব লীলায় গ্ৰামীণ হাওড়ার উদয়নারায়নপুর, জয়পুর,আমতা,বাগনান,শ্যামপুর এলাকার বিভিন্ন গ্ৰাম সহ অন্যান্য গ্ৰামের কৃষিখেতের পর কৃষি খেতের ফসল নষ্ট হয়েছে।পান বরোজগুলি ভেঙে গিয়ে পানগাছ তছনছ হয়ে গেছে।বহু ফলের গাছ ভেঙে গেছে।লকডাউনের প্রভাবে মানুষের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল।”আম্ফান” সেই ঠাঁই টুকুও কেড়ে নিয়েছে।
৭২ ঘন্টা কেটে গেলে ও গ্ৰামীণ হাওড়ার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।লকডাউন চলায় ভিনরাজ্যে গ্ৰামীণ হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আটকে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা ফোনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল।”আম্ফান” এর ধ্বংস লীলায় গাছ ভেঙে গেছে,বৈদ্যুতিক পোস্ট ভেঙে গেছে, বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারা যাচ্ছে না।ফলে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা আত্নীয়দের সঙ্গে যোগাযোগও সম্ভব হচ্ছে না।
বড় বড় গাছ, বৈদ্যুতিক পোস্টগুলো গ্ৰামীণ রাস্তায়, মূল সড়ক পথে পড়ে থাকায় রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে গেছে।এই সময়ে মুমুর্ষ রোগী, প্রসূতিদের নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া দূরুহ হয়ে উঠেছে।বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে মোবাইলে চার্জ না থাকার কারণে ফোনে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
এখনো গ্ৰামীণ হাওড়ার বহু জায়গায় ঝড়ে উপড়ানো গাছ কেটে পরিষ্কার করা হয় নি। এক্ষেত্রে ধীরে চলো মনোভাব স্পষ্ট। অন্যদিকে WBSEDCL থেকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সব অঞ্চলে এখনও বিদ্যুৎ নেই সেইসব অঞ্চলে পড়ে থাকা গাছ কেটে পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের পক্ষে সারাই কাজ সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয়।