নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ হার্টের মধ্যে জন্ম থেকেই ছিলো ফুটো।কিন্তু রোগী তা বুঝতেই পারেনি।হার্টের মধ্যে জন্মগত সেই ফুটো ধরতেই রোগীর সময় পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ বছর।তবে হার্টের না বুঝতে পারা ফুটো নিয়ে রোগী এতদিন নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। শেষমেষ শিলিগুড়ি প্রধান নগরের নর্থবেঙ্গল নিউরো সেন্টার রোগীরা যোগাযোগ করলে ধরা পড়ে যা তাদের হার্টে ফুটো রয়েছে। আরও বিশেষ গুরুত্বপূর্ন হলো মাত্র এক ঘন্টা ধরে মাইক্রো সার্জারির মাধ্যমে সেই হার্টের ফুটোর অপারেশন এবং চিকিৎসা হলো।রোগীরা এখন ভালো আছেন।শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের চিকিৎসা জগতে এ এক ভালো খবর।এধরণের রোগীরা চিকিৎসার জন্য রোগীরা সাধারণত কলকাতা বা দক্ষিন ভারতে দৌড়ে বেড়ান।
ওই দুজন রোগীর একজন শিলিগুড়ির, অপরজন
ধুপগুড়ির। একজন ৫৩ বছর বয়সী মহিলা, এবং অপরজন ৫০ বছর বয়সী পুরুষ। জন্ম থেকেই তারা অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্টে ভুগছিলেন বা হার্টের ফুটো থাকার সমস্যা৷ এই সমস্যার কারণে অস্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ হয় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগীর শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। নর্থবেঙ্গল নিউরো সেন্টারের কার্ডিওলজির চিকিৎসক ডাঃ কৈলাশ কুমার গোয়েল পরীক্ষার পরে রোগীদের মধ্যে ওই ত্রুটিগুলি সনাক্ত করেন। এবং দিল্লির চিকিৎসক ডাঃ বিকাশ কোহলির সহযোগিতা নিয়ে ওপেন হার্ট সার্জারি না করে মাইক্রো সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করেন।এ এক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন পদ্ধতি। রোগীকে সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়াও দেওয়া হয়নি। মাইক্রো অপারেশনের পর রোগীরা ওই নিউরোসেন্টারে বেশ ভালো আছে।