নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ একটি সরকারি স্কুল এভাবে চলতে পারে? সরকারি স্কুল তো নয়, দেখলে মনে হবে যেন কোনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। আর সেই স্কুলে পড়তে আসছে প্রত্যন্ত এলাকার প্রান্তিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা। সেইসব ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলেও মনে হবে না যে এরা কেউ প্রান্তিক পরিবার থেকে এসেছে। স্কুলে নিয়ম শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা,শৌচালয়,মিড ডে মিল সবেতেই দৃষ্টান্ত। স্কুলের পরিকাঠামো ভিন্ন ধর্মী। স্কুলে নিয়ম করে জল খাওয়ানো হয়। আবার শিক্ষকশিক্ষিকারা স্কুলে না আসতে পারলে বাড়িতে বসে ক্লাস নিয়ে নিচ্ছেন। গোটা দেশেই এক দৃষ্টান্ত শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরের মুরলিগঞ্জ হাই স্কুল। কিন্তু কিভাবে চলছে এই স্কুল? কিভাবে সাফল্য এলো? নেপথ্যে কোন রহস্য কাজ করছে, তা জানতে সেই স্কুলে উপস্থিত হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি স্কুলের শিক্ষকরা। একটি হলো বাকিপুর নজরুল বিদ্যাপীঠ, অপরটি আলমগীর হোসেন এটি ভাবতা নেতাজি হাই স্কুল, বেলডাঙ্গা। সেখান থেকে শিক্ষকদের মধ্যে নুর আলী, মনিরুজ্জামান, মতিউর রহমান হেসিমউদ্দিন শেখ প্রমূখ মুরলিগঞ্জ হাইস্কুলে এসে অভিভূত। মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বললেন তারা। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বললেন। স্কুলটি কিভাবে মডেল স্কুলে পরিণত হলো, তার রহস্য উদ্ধার করার জন্য বহু তথ্য সংগ্রহ করলেন মুর্শিদাবাদের ওই দুটি স্কুলের শিক্ষকরা। তারা জানালেন, মুর্শিদাবাদ ফিরে গিয়ে তাদের সরকারি হাই স্কুলেও মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলকে অনুসরণ করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন। শিক্ষার গুণগত মান থেকে শুরু করে পরিবেশ, স্বাস্থ্য সবেতেই যাতে এগিয়ে যাওয়া যায় সবচেয়ে বড় কথা ছেলেমেয়েরা কিভাবে ভালো মানুষ হতে পারে তার শিক্ষা কিভাবে দেওয়া যায় সবকিছু জেনে নিয়ে তারা তাদের এলাকায় বাস্তবে প্রয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন। মুরলিগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রচেষ্টা অন্যান্য স্কুলে যত ছড়িয়ে পড়বে ততোই ভালো। তারাও চান সব সরকারি স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত থেকে আরো উন্নততর হয়ে উঠুক।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-