বাপি ঘোষ ঃ শ্রীঅরবিন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ নিয়ে আজ সারা পৃথিবী জুড়ে শ্রীঅরবিন্দের দিব্য জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনায় বাংলার মানুষকে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করা উচিত। কেননা এই বাংলা হলো শ্রীঅরবিন্দের পবিত্র পুন্যভূমি।এই বাংলাতেই শ্রী অরবিন্দের আর্বিভাব হয়েছিল ১৮৭২ সালের ১৫ই আগস্ট। ১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর এই মহামানব পার্থিব শরীর ছেড়ে বেরিয়ে যান। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক, যোগী,কবি ও জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক। ইংরেজ হটাতে ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন।এরপর আলিপুর বোমা মামলায় ইংরেজ সরকার তাঁকে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়।জেল বন্দি থাকার সময়ই এই মহামানব তথা দিব্য পুরুষ অতীন্দ্রিয় ও আধ্যাত্মিক কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।তিনি শুরু করেন যোগ সাধনা।এরপর জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি সোজা চলে যান পন্ডিচেরীতে।সেখানে তিনি আরও বেশি বেশি করে যোগ সাধনায় মনোনিবেশ করেন এবং রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন।সেখানেই প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম।সেই দিব্য পুরুষ শ্রীঅরবিন্দের দৃষ্টিতে মানব জীবন এবং গীতার যোগ নিয়ে আলোচনা করতে হরিদ্বার থেকে শিলিগুড়ি এসেছেন আচার্য শ্রী অখিলেশ্বর ভরদ্বাজ মহাশয়।তিনি হরিদ্বারের আনন্দম আশ্রমের সভাপতি। গোটা ভারত জুড়ে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে গীতা,বেদ,উপনিষদ সহ আধ্যাত্মিক আলোচক হিসাবে।পরম সত্য বা আধ্যাত্মিক আলোর সন্ধানে বহু বছর আগে তিনি তাঁর পরিবার থেকে টানা সাত বছর নিখোঁজ হয়ে যান।পরিবারের সদস্যরা যখন সাত বছর ধরে তাঁকে খুঁজে বেরিয়েছেন ওই সময় তিনি নিঃশব্দে আধ্যাত্মিক সাধনা করেছেন। একুশে জুলাই শুক্রবার আচার্য শ্রী অখিলেশ্বর ভরদ্বাজ মহাশয় খবরের ঘন্টার মুখোমুখি হন।তিনি সেই সময় বলেন,গোটা বিশ্ব আজ শ্রীঅরবিন্দের দর্শন নিয়ে আলোচনা করছেন,সেই সময় বাংলার মানুষকে আরও বেশি করে শ্রীঅরবিন্দের দর্শন গভীর ভাবে অনুসরণ করা উচ্চতা। কারন এই বাংলাই শ্রীঅরবিন্দের পবিত্র পুন্য ভূমি।এখানেই তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-