নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ব্যবসা-বাণিজ্যের শহর শিলিগুড়িতে বিভিন্নভাবে মানুষকে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। কোথাও চিকিৎসার নামে প্রতারণা হচ্ছে। নার্সিংহোমে ভেজাল চিকিৎসার মাধ্যমে অতিরিক্ত বিল আদায় করা হচ্ছে। কোথাও ল্যাবরেটরীতে একেক জায়গায় একেকরকম রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকরা সঠিক চিকিৎসা করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে শুধু চিকিৎসা নয়, মোবাইল সংস্থাগুলোও নানাভাবে মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করে চলেছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন মানুষ মোবাইল কিনতে গিয়েও প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। এর বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কেও সাধারণ গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋন দেওয়া বা কার্ড ইস্যু করার নামেও হয়রানি বা প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ। হেলথ ইন্সুরেন্স করানোর নামেও চলছে লোক ঠকানোর প্রতারণা। হেলথ ইন্সুরেন্স করানোর আগে সাধারণ মানুষকে মিষ্টি কথায় বলা হচ্ছে, কোনও অসুবিধা হবে না, রোগ ব্যাধি হলে সব টাকাপয়সা পাওয়া যাবে। কিন্তু ইন্সুরেন্স শুরু হওয়ার পর কোনো কারনে রোগব্যাধি হলে তার চিকিৎসা বাবদ তার টাকা পয়সা পেতে মানুষকে হয়রানির শিকার হতে যাচ্ছে। এইসব নিয়ে শিলিগুড়িতে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার ব্যাপক কাজে নেমেছে উপভোক্তা দপ্তর। উপভোক্তা দপ্তরের কার্যালয় শিলিগুড়ি মাল্লাগুড়িতে কোর্ট ইয়ার্ডের ঠিক বিপরীতে। সেখানে গিয়ে বহু মানুষ তাদের প্রতারণা সম্পর্কে অভিযোগ জানাচ্ছেন। উপভোক্তা দপ্তরের অফিসারেরা প্রথমে সালিশির মাধ্যমে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন। সালিশিতে নিষ্পত্তি না হলে আদালতে যাওয়া বা কনজ্যুমার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সুপারিশ করছেন তাঁরা। শিলিগুড়িতে উপভোক্তা দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পবিত্র বসাক জানিয়েছেন, তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রাহুল দেব অধিকারীর নেতৃত্বে তারা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে উপভোক্তা সচেতনতার ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকাতেও তাদের প্রচার চলছে। বিভিন্ন স্কুলে তারা কনজিউমার ক্লাব গঠন করেছেন। বুধবারই উপভোক্তা সচেতনতার উপর একটি অনুষ্ঠান হয়েছে শিলিগুড়ি শালবাড়ি হিমালয়ান নার্সিং কলেজ স্কুলে। সেখানে উপভোক্তা দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর পবিত্র বসাক ছাড়াও উপভোক্তা কল্যান আধিকারিক অভিজিৎ দেবগুপ্তা, কনজ্যুমার অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদ আলী সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি ডিরেক্টর জানিয়েছেন, সালিশির মাধ্যমে তাদের কার্যালয় থেকে সত্তর থেকে ৮০ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে। তাছাড়া ২০১৯ সালের উপভোক্তা অধিকার আইনে ক্রেতাদের চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেও কোথাও প্রতারনার শিকার হলে তথ্য প্রমান নিয়ে মাল্লাগুড়ি উপভোক্তা দপ্তরে উপস্থিত হতে পারেন।এদিন সেখানে শিলিগুড়ি হাকিমপাড়া নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক অফিসার দিলীপ কুমার বাগচি হেলথ ইন্স্যুরেন্স বিষয়ক প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—