নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ রাস্তার ধারে এক মা তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে পড়েছিলো অভুক্ত অবস্থায়। বৃহস্পতিবার খবরটি পেয়ে ওই মা ও শিশু সন্তানদের পাশে দাড়ালেন সমাজসেবী কৌস্তুভ দত্ত।
সেই মায়ের বাড়ি কোচবিহারের নিশিগঞ্জে। তিন বছর আগে তাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায় তার স্বামী। এরপর সন্তান হলে সে মায়ের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। অভাবে জর্জরিত মহিলা হয়ে পড়েন খুব দুর্বল। বাঁচার তাগিদে শেষমেষ মহিলা শিলিগুড়ি আসেন দুদিন আগে। কিন্তু ঝংকার মোড়ের কাছে তিনি তার দাদার বাড়িতে উঠতে পারেননি। অভিযোগ, আপত্তি করেন তার বৌদি। শেষে বর্ধমান রোডের থেকে অনেক দূরে শক্তিগড় এলাকায় রাস্তার পাশে অভুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন মহিলা। মা ও শিশুর খিদের কান্না পথচারীদের অনেকের হৃদয় স্পর্শ করছিলো না। শেষমেষ খবরটি শিলিগুড়ি রাজবংশী রিপ মিনিস্ট্রির সমাজসেবী কৌস্তুভ দত্তের কানে যায়। কৌস্তুভবাবু খবর পেয়েই আগে মা ও মহিলার জন্য পেটপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তারপর মহিলাকে ভর্তি করা হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্ত মহিলার দুই শিশুকে মা এর সঙ্গে ভর্তি নিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখন কৌস্তুভবাবুরা চাইল্ড লাইন সহ বিভিন্ন সংস্থাকে খবর দেন। ওই দুই শিশু ( মানে ভাইবোন)কে কৌস্তুভবাবুরা নিয়ে যান এনজেপি থানায়। শিশুদের মা হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও শিশুদের হোমে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। একজন যাবে হয়তো বয়েজ হোমে আর একজন গার্লস হোমে। শিশু দুটি এই সময় হোমের বাইরে থাকলে কোনওভাবে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়তে পারে। তাই তারা সরকারি হেফাজতে শিশু দুটিকে পাঠানোর উদ্যোগ নেন বলে কৌস্তভবাবু জানান। তবে একই সঙ্গে শিলিগুড়ি পুরসভার অধীন জলপাইগুড়ি জেলার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলো মিলিয়ে তারা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি চাইছেন বলে কৌস্তুভবাবু জানান। সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দার্জিলিং জেলায় বহুদিন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি নেই। তারা চাইছেন দার্জিলিং জেলা ও শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ড মিলিয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি তৈরি হোক। অন্তত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ধার হওয়া শিশুদের সুরক্ষা বা তাদের অধিকারের স্বার্থে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি দরকার।