নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ডুয়ার্সের হতদরিদ্র এক গাড়ি চালকের স্ত্রী চা বাগানের মধ্যেই বাড়িতে প্রসব করলেন। চারদিকে শিক্ষা, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, আশা কর্মীদের ব্যাপক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে গেলেও এখনো বাড়িতেই প্রসব হচ্ছে। আর সেই ঘটনা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি লজ্জা প্রদর্শন করছে।
একটা সময় দাইমা দিয়ে গ্রামে বা বস্তি এলাকায় সন্তান প্রসব হোত।অবৈজ্ঞনিক পদ্ধতিতে বাড়িতে প্রসব হওয়ার জেরে বহু মায়ের মৃত্যু হোত।এমনকি শিশুরও মৃত্যু হোত।শিক্ষার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে প্রসবের পুরনো প্রথা বদলে যায়। দাইমারা হারিয়ে যেতে থাকে।কিন্তু এখনো সেই পুরনো পদ্ধতিতেই এক হতদরিদ্র মহিলার প্রসব হলো বাড়ির মধ্যে। ডুয়ার্সের বানারহাট এলাকার
দেবপাড়া চা বাগান নিবাসী নিতু নায়েক গর্ভবতী ছিলো।গর্ভাবস্থায় তাকে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য, আয়রন ট্যাবলেট না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কিছুদিন আগে এমনকি গর্ভবতী এবং গরিব হলেও তাঁকে সরকারি স্বাস্থ্য কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিউ হাসিমারা নিবাসী শুক্লা দেবনাথ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তড়িঘড়ি সেই মহিলার স্বাস্থ্য কার্ড তৈরি হয়। কিন্তু শনিবার সেই মহিলার বাড়িতেই প্রসব ব্যথা শুরু হলে নিউ হাসিমারা নিবাসী শুক্লা দেবনাথকে ফোন করে নিতু নায়কের স্বামী ।দিদি নম্বর ওয়ান খ্যাত শুক্লা দেবনাথ হাসিমারা থেকেই দৌড়ে যান নিতু নায়কের কাছে। কিন্তু শুক্লাদেবী পৌঁছাতে পৌঁছাতেই বাড়িতেই নিতু নায়েকের প্রসব হয়ে যায়।এরপর সদ্য মা হওয়া সেই মহিলাকে নিয়ে বানারহাট সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন শুক্লাদেবী। রক্তের অভাব হওয়ায় নিতু নায়ককে মালবাজারে রেফার করা হয়। শুক্লাদেবী সদ্য মা হওয়া নিতু নায়কের জন্য Ab+ গ্রুপের রক্তের সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন। মা এবং সদ্যোজাত শিশু এখন দুজনই সুস্থ আছে। শুক্লা দেবনাথ এর এই ইতিবাচক কাজ দেখে দেবপাড়া চা বাগানের সমস্ত বাগানবাসী প্রশংসা করেছেন। তাঁরা সকলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন শুক্লাদেবীকে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —