নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ কলকাতায় হেরিটেজ একাডেমির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রথম পুরস্কার পেলো শিলিগুড়ির প্রতিভাবান তরুন কৌস্তুভ ঘোষ। তার সঙ্গে শিলিগুড়ির অমিত বসুও পুরস্কৃত হয়েছে।
শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ায় বাড়ি কৌস্তভের। ওর বাবা কাঞ্চন ঘোষ প্রখ্যাত নাট্যকার আর মা কনিকা ঘোষ হস্তশিল্পী এবং সমাজকর্মী। তিন মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক ভিডিও। নাম পারফেক্ট। এ বং লেন্স তা তৈরি করেছে। একটি ছেলে একটি মেয়ের বেশ বন্ধুত্ব ছিল ছোটবেলা। তারপর কোনোকারনে তাদের মাবাবা অন্যত্র বদলি হলে তাদের বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে। পরে বড় হলে আবার তারা পরস্পর পরস্পরের কাছে আসে। যেখানে তাদের বন্ধুত্ব বিচ্ছেদ ঘটে সেখানেই আবার তাদের দেখা হয়। ভালোবাসা এভাবেই নিজেদের চিনে রাস্তা খুঁজে নেয়। আর এনিয়েই গানের মিউজিক ভিডিও। গান গেয়েছেন শিল্পী অয়ন দেব এবং দীপর্ণা বিশ্বাস। শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া এবং সূর্যসেন পার্কে হয়েছে শ্যুটিং। স্টোরিলাইন, নির্দেশনা এবং ভিডিওগ্রাফি কৌস্তভের। ভিডিও এডিটিংয়ে কৌস্তুভ এবং অমিত। কৌস্তুভ আর অমিতের একাজ কলকাতায় স্বীকৃতি পেয়েছে।
শিলিগুড়ি লাগোয়া একটি বেসরকারি কলেজে জুলজি অনার্স নিয়ে পড়ছে কৌস্তুভ। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তোলা তার নেশা। ছোট বেলায় কৌস্তুভ মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকতো ছবি তোলার নেশায়।হাঁটু গেড়ে বসে থাকতো কোনও একটি গাছের সামনে,কখন সে গাছে কোনওএকটি পোকামাকড় বসবে আর তার ছবি ক্যামেরাবন্দি করবে সে। সে নেশা আজও চলছে। তবে এখন মোবাইল ক্যামেরা নয়, বাবার কাছ থেকে ভালো ক্যামেরা নিয়ে সে ডুব দেয় ছবি তোলায়। শিলিগুড়িতে আন্তঃকলেজ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতাতেও পুরস্কার পেয়েছে কৌস্তুভ। ভিডিও এলবামের অনেক সুন্দর সৃজনমূলক কাজও করেছে সে। মা আসছেন নামে আগমনীর আগেও একটি ভিডিও এলবাম তৈরি করে বেশ নজর কেড়েছে কৌস্তুভ। ভবিষ্যতে সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে কিছু কাজ করতে চায় কৌস্তুভ। ওর কথায়, ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে কোনও চাপের নয়। আর এই সৃজনমূলক ইতিবাচক নেশায় শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।
শিলিগুড়ি পানিট্যাঙ্কি মোড়ে রাতের ছবি এমন কায়দায় তুলেছে কৌস্তুভ যা দেখে মনে হবে, বিদেশের কোনও ছবি। কলকাতায় হেরিটেজ একাডেমি ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রথম পুরস্কার পাওয়াই নয়, শিল্পী সৃজিত মুখার্জি আমাদের মিউজিক ভিডিওর তারিফ করেছেন এটা বড় পাওনা, জানায় কৌস্তুভ। ওর মা কনিকা ঘোষ বলেন, কৌস্তুভ ছোট থেকেই ছবি তোলার নেশায় মত্ত থাকে। ইতিবাচক সৃজনমূলক কাজের নেশায় ও ব্যস্ত থাকে এটা তাদের কাছে বড় আনন্দের।