নিজস্ব প্রতিবেদন শব্দ দূষণ বাড়তে থাকায় বধিরতা বাড়ছে। শহরে গাড়ির হর্ন বা শব্দ দূষণ এমন সমস্যা তৈরি করছে যে শুধু বধিরতা নয়, মানসিক সমস্যা তৈরি করছে। শব্দ দূষণ মানুষের ঘুমও কমিয়ে দিচ্ছে। তার জেরে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করছে। উত্তর বঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ই এন টি বিভাগের প্রধান ডাক্তার রাধেশ্যাম মাহাতো বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন। বুধবার ছিল বিশ্ব শ্রবন দিবস।এই দিবস স্মরনে ডাক্তার মাহাতো ওইসব কথা জানান।
ভারতের অটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শিলিগুড়ি শাখার সদস্যরা এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগ গত ২০শে মার্চ বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ইএনটি সেমিনার কক্ষে ‘বিশ্ব শ্রবণ দিবস’ পালন করে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ডিন ডাক্তার সন্দীপ সেনগুপ্ত, ডাঃ ডি এম মুন্সি, অধ্যাপক ডঃ সৌমিক দাস, শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃমধুমিতা নন্দী এবং অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্য চিকিৎসক, নার্সিং কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বধির শিশুদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
ই এন টি বিভাগের প্রধান তথা বিশেষজ্ঞ ই এন টি চিকিৎসক
ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো বধির শিশুদের জন্য বধির হওয়ার কারণ, বধিরতা প্রতিরোধ করা, প্রাথমিক সনাক্তকরণ, শিক্ষা, পুনর্বাসন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন যে খুব শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারির সুবিধা শুরু করা হবে।এর ফলে অনেক বধির শিশু উপকৃত হবে। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি সম্পর্কে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড.সৌমিক দাসও। অধ্যাপক ড. মধুমিতা নন্দী জন্মগত বধিরতা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত সঠিক প্রসবপর্ব এবং অন্তঃসত্ত্বার যত্ন নিয়ে আলোচনা করেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিন ডাক্তার সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং এই বিশেষ পরিষেবাটি বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যেসব শিশু জন্ম থেকে কক্লিয়ার সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে বধির অবস্থায় তাদের কানে অপারেশনের মাধ্যমে কক্লিয়ার প্রতিস্থাপন করে বধিরতা দূর করার এক ঐতিহাসিক প্রয়াস শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :