ক্যান্সার আক্রান্ত গরিবদের জন্য অত্যন্ত মানবিক মুম্বাইয়ের টাটা, দেখুন বিশেষ প্রতিবেদন

সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় : ক্যান্সার মানে এখন আর নো অ্যান্সার নয়।শুরুতে ধরা পড়লেতো কোনো কথাই নেই। আর এই ক্যান্সার চিকিৎসায় গোটা বিশ্বে এক দৃষ্টান্তমূলক নাম মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার মেমোরিয়াল হাসপাতাল। প্রতিদিন বহু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছুটছেন টাটার পথে।পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও বহু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন টাটাতে ভিড় করছেন। তবে যাঁরা গরিব তাদের বড় কষ্ট। চিকিৎসার জন্য মুম্বাই যাওয়া, আসা, থাকা খাওয়া, চিকিৎসা খরচ বহন করা প্রভৃতি নানারকম ঝক্কি সামলাতে হিমশিম পরিস্থিতি তৈরি হয় গরিব মানুষদের জন্য। আর ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগান্তকারী নাম মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই। আজ খবরের ঘন্টার দর্শক শ্রোতাদের জন্য মুম্বাই থেকে টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসা বিষয়ক কিছু তথ্য ও ছবি পাঠিয়েছেন খবরের ঘন্টার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে চলুন এই প্রতিবেদনে একটু দেখে শুনে নেওয়া যাক টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালের কিছু তথ্য ও ছবি
প্রথমে এটা দেখতে পারছেন,
মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের খাড়গড়ের রেডিওলজি বিভাগের ছবি।

এবারে যে ছবি বা ভিডিও দেখতে পারছেন, এটা তৈরী করে দিয়েছে ইমফোসিস। এখানে সাধারণ রোগীরা ১২০/টাকায় থাকা এবং চার বেলা খাবার খেতে পারেন।আর প্রাইভেট রোগীদের ৫৬০/টাকা দিয়ে থাকতে হয়।

এটা দেখতে পারছেন—
শান্তি সদন। এখানে জেনারেল এবং প্রাইভেট সব ধরণের রোগীদের ওপিডির ব্যবস্থা রয়েছে ।এই শান্তি সদন ওপিডি-তে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের দেখতে পারছেন,তারা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন।এখানের প্রতিটি ফ্লোরে ঠান্ডা ও সাধারণ পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত আছে, মহিলা ও পুরুষদের জন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাথরুমও রয়েছে । এখানে প্রায় আড়াই হাজার কর্মী হাসিমুখে প্রতিদিন রোগীদের পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এবারে যার ছবি দেখছেন,
ইনি পশ্চিমবঙ্গের একজন রোগী। আর্থিক সঙ্গতি নেই বললেই চলে। চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছেন তার স্ত্রী এবং বাবা।তার বাবা এখানে এসে রাজমিস্ত্রির যোগালির কাজ শুরু করেছেন।ভাবা যায় না কি ভীষণ ভাবে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। ওড়িশা সরকার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরাসরি পাঁচ লাখ টাকা টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালকে প্রদান করে । মহারাষ্ট্রের সরকার তাদের রাজ্যের বসবাসকারী রোগীদের জন্য মহাত্মা পুল যোজনায় পাঁচ লাখ টাকা সরাসরি টাটাকে মেমোরিয়াল হাসপাতালকে প্রদান করে । বাকি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নাগরিকগণ যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হন তবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখ টাকা সরাসরি টাটাকে মেমোরিয়াল হাসপাতালে জমা করে দেয়। বঞ্চিত শুধু পশ্চিমবঙ্গের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা। কোনো সহায়তা নেই। অথচ টাটাতে চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে অগুনতি রোগী যাতায়াত করছে। পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এই সময় টাটাতে । খুবই অসহায় পরিস্থিতি তাদের। যদিও টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুবই মানবিক। শিলিগুড়ির মতো চিকিৎসার নামে টাকা লুটপাট করার নৃশংস কাজকর্মের বিন্দুমাত্র উদাহরণ নেই টাটাতে।বরঞ্চ গরিব অসহায় মানুষরা চিকিৎসার খরচের জন্য ছাড় দেওয়ার আবেদন জানালে টাটা তাদের জন্য মানবিক। প্রতিদিন অসংখ্য গরিব মানুষ টাটাতে ক্যান্সার চিকিৎসায় ছাড় পাচ্ছেন যা মানবিকতার নজির।

এটা দেখতে পারছেন, টাটার প্রটোন থেরাপির ইউনিট। আমাদের ভারতবর্ষে এই ধরণের ইউনিট মাত্র দুটি আছে, একটি চেন্নাই এ্যাপোলোতে এবং অন্যটি আছে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের খাড়গড়ে।প্রচন্ড দামি এই আধুনিক প্রযুক্তির মেশিনটি।যা কিনা ক্যান্সার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শুনুন মুম্বাই থেকে খবরের ঘন্টার প্রতিনিধি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কি জানাচ্ছেন —
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে —–