দীপাবলির আগে খুশির খবর, এখন থেকে বাজারে পরিবেশবান্ধব আতসবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃদীপাবলির আগে এবার আতসবাজির জন্য সুখবর। বাজারে আসছে পরিবেশ বান্ধব আতসবাজি। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া লিউসিপাখরি হাতিরামজোতে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র বাজি কারখানা রাজ ফায়ার ওয়ার্কস। বাজি শিল্পী জয়ন্ত সিংহরায় ১৯৯৮ সালে খুলেছিলেন এই কারখানা। বিগত দুবছর করোনার জেরে বাজি নিয়ে চারদিকে প্রশ্ন উঠতে থাকে। শেষে আদালতের নির্দেশের পর বাজি কারখানাগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে। বহু মানুষের রুটিরুজির প্রশ্নও চলে আসে। অপরদিকে নাগপুরে অবস্থিত ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এনিয়ে গবেষণায় নামেন।তাদের গবেষণার জেরেই এসেছে পরিবেশ বান্ধব গ্রীন বাজি। এই বাজি মানুষেরও কোনো ক্ষতি করবে না। বুধবার বাজি শিল্পী জয়ন্তবাবু বলেন, তাঁরা অতীতে যেসব বাজি তৈরি করছিলেন তারমধ্যে বেরিয়াম নাইট্রেট পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বাড়তি কিছু কেমিক্যাল মিশিয়ে নতুন এই গ্রীন বাজি তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া কিউ আর কোডও দেওয়া হচ্ছে প্রতিটি বাজির প্যাকেটে ফলে বাজি নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি বা ধোঁয়াশার নিরসন হবে। জয়ন্তবাবুর পুত্রও এবার আরও আনন্দের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব আতসবাজি তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন। দুরকম তুবড়ি এবং এক রকম রং মশাল এবার নিয়ে আসছেন জয়ন্তবাবু। সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন জয়ন্তবাবু।এখন ডেঙ্গু সেরে গেলেও তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল। তবুও শিল্পের নেশায় দুর্বলতা উপেক্ষা করে এখন শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।তাছাড়া জয়ন্তবাবু গাছ ভালোবাসেন। গোটা কারখানায় তিনি গাছ লাগিয়ে অনেক আগে থেকেই সবুজায়ন করেছেন। এবার বাজিতেও পরিবেশ সচেতনতা আসায় তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, বাজির ব্যবসা করতে গিয়ে বহু মানুষের প্রশ্নের মধ্যে পড়তেন তাঁরা। তাঁরা পরিবেশের ক্ষতি করছেন বলে অনেকে আঙুল তুলতেন।এবার সেই সব প্রশ্নের নিরসন হলো বলে তিনি জানান।বাজি কারখানার কর্মীরাও বেশ খুশি