নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ চারদিকে চলছে চরম স্বার্থপর ভাবনা। একটা পরনিন্দা, পরচর্চা বাংলার সংস্কৃতিকে গ্রাস করেছে। কে কাকে মেরে খাবে, তার একটা অন্ধকারময় পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। খুন, ধর্ষণ প্রায় সময়ই চলছে। এরমধ্যেও কিছু মানুষ সমাজের কথা ভাবছেন। এরমধ্যেও কিছু মানুষ দেশের কথা ভাবছেন। এইসব ভালো মানুষেরা সরকারের কাছে স্বীকৃতি না পেলেও তাদের ইতিবাচক কাজ চলছেই। যেমন ডুআরসের বীরপাড়া নিবাসী সাজু তালুকদার। বন্ধ চা বাগানের গরিবদের জন্য তিনি প্রথমে জামাকাপড় বিতরনের উদ্যোগ নেন। এখন তার বাড়িতে ফুটপাথের অভুক্ত মানুষের জন্য আশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ডুআরসের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া করিমুল হকের কথা আমরা সকলে জানি। গ্রামের অসুস্থ মানুষদের বাইকএ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে তিনি পৌঁছে দেন। কিন্তু বীরপাড়ার সাজু তালুকদার একদম অন্যরকম। ছোটবেলায় তিনি স্কুলে যাওয়ার সময় জামাকাপড়ের অভাব অনুভব করেছেন। এখন সেই অনুভুতি অন্যভাবে তাকে সমাজসেবায় উদ্বুদ্ধ করে। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের বস্ত্র তুলে দিতে তিনি খুলেছেন বস্ত্র ব্যাঙ্ক। আর তার আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ এগিয়ে আসছেন। বস্ত্র ব্যাঙ্কের কাজ চালাতে চালাতেই তিনি অনুভব করেন যে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা অভুক্ত মানুষদের জন্য কিছু করা দরকার। বাড়িতে খুলেছেন আশ্রয়। আর তার জন্যও কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছেন। সমাজের সব মানুষ শেষ হয়ে যায়নি। এখনো বহু ভালো মানুষ আছেন। আর তার জন্য এগিয়ে চলেছে সমাজ। শুক্রবার সাজুবাবুকে শিলিগুড়িতে আমন্ত্রন জানিয়ে তার হাতে চালের বস্তা, কিছু টাকা তুলে দিলেন কিছু মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন অরবিন্দ ঘোষ, রুবি ভাওয়াল, বীণাপাণি শিল্পী, তার স্বামী কাঞ্চন পালিত। বীণাপাণি ও তার স্বামী দিয়েছেন এক হাজার টাকা। রাজা দাস দিয়েছেন তিন কেজি ্মুসুর ডাল। অন্যরা এক বস্তা করে চাল। সাজুবাবু সকলকে তাদের মানবিকতার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। আরও বহু মানুষ সাজুবাবুকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছেন।