বাবা-মা কেও নেই এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর,ও ভালো মানুষ হতে চায়

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  বাবা মা নেই কাকলির।মারা গিয়েছে। ওরা দুই বোন।কাকলি বড়।দাদু দিদিমার কাছে বড় হচ্ছে ওরা।শিলিগুড়ি শহরের ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের সঙ্গে রয়েছে ছোট ফাপড়ি বস্তি।আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর এলাকা।শিক্ষার দিক থেকেও সেখানে অনেকেই অনগ্রসর। যে দাদু দিদিমার কাছে থাকে কাকলি সেই দাদু দিদিমাও আর্থিক ও শিক্ষার দিক থেকে অনগ্রসর। এইরকম বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কাকলি বই পড়তে ভালোবাসে। বস্তির ভাঙাচোরা ঘরের মধ্যেই কাকলির কাছে বড় হাতিয়ার বই। আর সময় হলেই ছবি আঁকতে বসে যায় কাকলি।একতিয়াশাল তিলেশ্বরী অধিকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর মাধ্যমিকে বসতে চলেছে কাকলি রায়।
বাবা-মাকে হারানোর বিয়োগ ব্যথা ওকে খুব কষ্ট দেয়।কিন্তু সে কষ্টকে ও লাথি মারতে চায় বইয়ের সঙ্গে সংযোগ করে। বড় হয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে না বস্তির এই কিশোরী,ও স্বপ্ন দেখে একজন ভালো মানুষ হওয়ার।
কিন্তু সামনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে গেলে ওরতো অর্থ সাহায্যও দরকার। সেই প্রতিবন্ধকতার মেঘ সোমবার কাকলির অনেকটাই কেটে গেলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মরীচিকা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির শিক্ষা দরদী মানসিকতার জন্য। এদিন ওই সোসাইটির তরফে বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কাকলির হাতে ১৪ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। সোমনাথবাবুর সঙ্গে সেইসময় উপস্থিত ছিলেন মরীচিকা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে শিক্ষিকা লিপিকা মুখার্জি,সংস্থার সম্পাদিকা মালবিকা সাহা,কোষাধ্যক্ষ রনিতা শীল, রাজ গাঙ্গুলি প্রমুখ। তাঁরা সকলেই জানান, আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনায় এগিয়ে যায় সেজন্য তাঁরা অনবরত নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।আগামীদিনেও তাদের এই মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচি অবব্যাহত থাকবে।কাকলি রায় ও তার দিদিমা এই সহযোগিতা পেয়ে বেশ খুশি। তাঁরা মরীচিকা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ইতিবাচক ভাবনাকে জোরদার করার লক্ষ্যে অনবরত কাজ চালিয়ে যাওয়া খবরের ঘন্টার এই পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি করে লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। খবরের ঘন্টা চ্যানেলের লাইক,ফলো বা সাবস্ক্রাইব বাটনটি অন করে রাখতেও ভুলবেন না।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —