শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্মকথায় প্রদীপ্ত ভাস্কর চক্রবর্তীর সঙ্গীত ও নাট্য চর্চার কথা মেলে ধরা হচ্ছে —
আমি প্রদীপ্ত ভাস্কর চক্রবর্তী। জন্ম জলপাইগুড়ি শহরে, মামা বাড়িতে | নিবাস বেড়ে ওঠা ও লেখাপড়া শিলিগুড়িতে | এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যে আমার বাল্য জীবন, কৈশোর ও যৌবন কাটে | আমার পিতা শ্রীযুক্ত স্বপন চক্রবর্তী যিনি এই শহরেরই একজন স্বনামধন্য দিশারী পুরস্কার প্রাপ্ত নাট্য ব্যাক্তিত্ব ও বাচিক শিল্পী | আমার মাতা স্বর্গীয় মমতা চক্রবর্তী যিনিও এই শহরেরই একজন বিশিষ্ট নৃত্য প্রশিক্ষক, গায়িকা ও দিশারী পুরস্কার প্রাপ্ত নাট্য কর্মী | তাই ছোটবেলা থেকেই পিতা ও মাতার নাট্যদলের সঙ্গে কখনো অভিনয় বা সংগীত নিয়ে যুক্ত থাকতাম | বিশিষ্ট নাট্যকার বাদল সরকারের workshop এও অংশগ্রহণ করি যাঁকে আমাদের বাড়িতেই খুব কাছ থেকে দেখেছি |
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর হয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত |কর্মরত অবস্থাতেও সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকিনি | ছোটবয়সেই তবলা সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিলাম, নাটকেও যন্ত্রাণুষঙ্গে শ্রদ্ধেয় অমল চক্রবর্তী এর পরিচালনায় দামামায় এবং নান্দনিকেও যুক্ত ছিলাম| প্রথম অভিনয় দামামা নাট্য গোষ্ঠীতে অনির্বান নাটকে | পরবর্তীতে নান্দনিক নাট্য সংস্থায় স্বপন চক্রবর্তীর পরিচালনায় আবার ব্যোমকেশ এবং মৃত্যুর চোখে জল নাটকে অভিনয় করি | একটি স্বল্প দৈর্ঘের ‘প্রাপ্তি ‘ চলচিত্রে অভিনয় করি |
এভাবেই সুস্থ সংস্কৃতিকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ |
নান্দনিক
দেশবন্ধু পাড়া, শিলিগুড়ি।