বাবা রাজমিস্ত্রী, সংসারে অভাব, তারমধ্যেই সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের গোলকিপার শিলিগুড়ির রাজা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বাবা রাজমিস্ত্রী।সংসারে রয়েছে তীব্র অভাব। তাঁর মা-ও অসুস্থ। মা এর জন্য নিয়মিত ওষুধ কিনতেও তাঁকে হিমশিম খেতে হয়। এরকম সমস্যার মধ্যে লড়াই করেই সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের গোলকিপার হিসাবে খেলার জন্য কেরালায় যাচ্ছেন শিলিগুড়ি এনজেপি সূর্যসেন কলোনির তরুন রাজা বর্মন।কেরালায় খেলতে যাওয়ার আগে শিলিগুড়ির এই তরুন প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড়কে বৃহস্পতিবার উৎসাহিত করলেন শিলিগুড়ি বানীমন্দির রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলের অধ্যক্ষ শেখ বোরহান আলি,ক্রীড়া শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার জানা এদিন ফুলের তোড়া, মিস্টি দিয়ে আগামীতে রাজার আরও সাফল্য কামনা করেন।
২০১৮ সালে বানীমন্দির রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে পাশ করে বের হন রাজা। ছোট থেকেই তাঁর নেশা ফুটবল খেলার প্রতি। প্রথমে স্ট্রাইকারে খেলতেন,তারপর মিডফিল্ডে।সংসারে অর্থ কষ্ট তাঁর খেলায় বাধা সৃষ্টি করেছে কিন্তু তবুও হাল ছেড়ে দেননি।বরঞ্চ বাধা যত এসেছে ততই ফুটবলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।সেই ফুটবল খেলে এদিক ওদিক থেকে দুটা পয়সা রোজগার হয়েছে আর তা দিয়ে মায়ের ওষুধ কিনেছেন। বানী মন্দির স্কুলে পড়ার সময় সুব্রত কাপ, উর্জা কাপ, অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে স্কুল ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতে আই লিগ সহ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন রাজা। আর জালে বল আটকে না দেওয়ার লড়াইয়ে আরও দক্ষতা দেখিয়ে বাংলার সুনাম অক্ষুন্ন রাখাই নয়, নিজের সংসারের হালও ফেরাতে চান । স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সুদীপ্ত জানা বলেন, শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গ থেকে এই প্রথম কেও সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের গোলকিপার হিসাবে সুযোগ পেলো।এটা বেশ আনন্দের খবর। রাজার বর্তমান বয়স একুশ বছর। আগামীদিনে তার জন্য রয়েছে আরও উজ্জবল ভবিষ্যৎ।