নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস।এই বিশেষ দিনকে সামনে রেখে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের তেসিমিলা গ্রাম পঞ্চায়েতেে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে চলেছে। দিশা শান্তি দল ছাড়া ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশন এবং তেসিমিলা গ্রাম পঞ্চায়েত বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে চলেছে। দুপুর একটায় সেখানকার হল ঘরে শান্তি নিয়ে আলোচনা ছাড়া শান্তি মিছিলও হতে পারে।মহরমের পবিত্র দিনে সেখানে আলোচনার সময় মুসলিম ইমাম ছাড়া বৌদ্ধ, খ্রীস্টান,ভারত সেবাশ্রম সংঘ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা তরুন মাইতি জানিয়েছেন, চারদিকে আজ কেন বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি, শান্তির উৎস কোথায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। শান্তিতো মাদুলি নয় যে তা পড়িয়ে দিলেই হবে, শান্তির জন্য ইতিবাচক ভাবনা আনতে হবে। আজ ভাবা দরকার সমাজ ও সংসারে শান্তির প্রয়োজনীয়তা কেন। শান্তির জন্য সবাই মন্দির মসজিদ গির্জায় ছুটে যায়। কিন্তু সবাই যদি তাদের পরিবারকে মন্দির মনে করে।তবে কি আমরা শান্তি খুঁজে পেতে পারি কি? সংসারে সবাই যদি তার নিজ নিজ ভূমিকা সম্পর্কে সজাগ থাকে তবে কি শান্তি আসতে পারে না? ওর ছেলে ফার্স্ট হয়েছে,আমার ছেলে কেন হল না,এই ইঁদুর দৌড়ে কেন আমরা পা মেলাবো? এইরকম আকাঙ্খাও কিন্তু অনেক সময় শান্তি বিঘ্নিত করছে।ছোট ছোট জিনিস নিয়ে না ভেবে আমরা যদি সদর্থক ভূমিকা নিয়ে চলার অভ্যেস করতে পারি তবে কি শান্তি পেতে পারি না? আমাদের দেশ বহু ভাষা বহু বৈচিত্রের দেশ। পরমতসহিষ্ণুতা কি আমরা বেশি করে ভাবতে পারি না? আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।সেটা নিয়ে কি আমরা আরও বেশি যত্নশীল হতে পারি না? এইসব বিযয় নিয়ে তারা শান্তি দিবসে আলোচনা করবেন বলে তরুনবাবু জানান।