
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শাস্ত্রে বলা রয়েছে, পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপ:। সংসারে মায়ের যেমন অসামান্য অবদান রয়েছে তেমনই পিতার অবদানও কম নয়। বহু দুঃখ কষ্ট হজম করেও একজন বাবা সংসার পরিচালনা করেন ছাতার মতো।মা যেমন চায় তার সন্তান সুখে থাকুক,পিতাও তেমনই চায়।সন্তানের কষ্ট হলে পিতাও কষ্ট পান। আর রবিবার পিতৃ দিবসে এমনই এক পিতার মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এলেন দুই জন সমাজসেবী।
কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় বাড়ি এগার বছরের বালক দীপাংশু ভট্টাচার্যের।দুটো কিডনিতেই সমস্যা রয়েছে দীপাংশুর।তার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে দীপাংশু।এগার বছরের এই বালককে বাঁচাতে হলে রবিবার দুই ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। দীপাংশুর বাবা পিনাকি ভট্টাচার্য পুত্র দীপাংশুকে বাঁচাতে ছটফট করতে থাকেন।এদিক ওদিক ছুুটতে থাকেন রক্তের জন্য। শেষমেষ কোচবিহারের আস্থা ফাউন্ডেশনের কাছে খবরটি পৌঁছালে তাঁরাও রক্ত খুঁজতে তৎপর হয়। শেষে পিতৃ দিবসে রক্তের জন্য দৌড়াতে থাকা পিতা পিনাকি ভট্টাচার্যের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসেন দুই সমাজসেবী দীপঙ্কর মন্ডল এবং সুব্রত কুমার মন্ডল। কোচবিহারের মান্টু দাস পল্লী থেকে দীপঙ্কর মন্ডল কোচবিহার সেন্ট জন এম্বুলেন্স এসোসিয়েশনে এসে রবিবার রক্ত দান করেন দীপাংশুর জন্য। আর চান্দামারি থেকে সমাজসেবী সুব্রত কুমার মন্ডল কোচবিহার সেন্ট জন এম্বুলেন্স এসোসিয়েশনে এসে রক্ত দান করেন এগারো বছরের ওই বালকের জন্য। এই দুই সমাজসেবী প্রমাণ করেন,মানুষ মানুষের জন্য। আর পিতৃ দিবসে দীপাংশুর বাবা পিনাকি ভট্টাচার্যের হাতে দুই ইউনিট রক্ত তুলে দিতে পেরেও তাঁরা খুশি। আস্থা ফাউন্ডেশনের তরফে সমাজসেবী শঙ্কর রায় ওই দুই সমাজসেবীর এই মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা,খবরের ঘন্টার এই পোস্টটি ভালো লাগলে ইতিবাচক ভাবনা প্রসারের জন্য পোস্টটি বেশি বেশি করে লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।খবরের ঘন্টার ইতিবাচক ভাবনাকে সম্প্রসারিত করবার জন্য খবরের ঘন্টা চ্যানেলের লাইক,ফলো বাটন অন করার সঙ্গে সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করে উৎসাহিত করবেন অনুগ্রহ করে।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-