নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ১৯ জুনঃ করোনা আবহেই এবছর হতে চলেছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন। ভারতে এ নিয়ে গত ছ’মাসে দুবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা।
২১ জুন উত্তরবঙ্গে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন শুরু হবে সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে। শেষ হবে দুপুর ২ টা বেজে ১৬ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে। তবে বলয়গ্রাসের বিরল নিসর্গ দৃশ্য ‘রিং অফ ফায়ার’ দেখা না গেলেও সূর্যের ৮০ শতাংশ অংশ ঢাকা পড়বে উত্তরবঙ্গের আকাশে। ঘড়িতে ১২ টা ৪৫ মিনিটে রিং অফ ফায়ার দেখা যাবে ভারতের পাকিস্তান সীমান্ত রাজস্থানের সুরাটগড়, শিড়ষা, মোদিমঠ, দেরাদুন, যমুনা নগর ও কুরুক্ষেত্র থেকে। ভারত বর্ষ ছাড়াও একই মহাজাগতিক দৃশ্য প্রত্যক্ষ করবে পাকিস্তান, চীন, তিব্বত, তাইওয়ান।
বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহনকে বলা হয় আকুলার সোলার একক্লিপ্স। কক্ষপথে প্রদক্ষিনের সময় চাঁদ যখন এমন এক দূরত্বে চলে যায়, যখন তার ছায়া সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারেনা। অর্থাৎ চাঁদ সূর্যের মাঝখানে চাকতির মতন ঢেকে দেয় আর তার চারপাশ দিয়ে বেড়িয়ে আসতে দেখা যায় সূর্যের আলোকে। এই অবস্থার নামই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন। এবছর ভারতের আকাশে মাত্র ৩০ সেকেন্ড দেখা যাবে রিং অফ ফায়ার। কিন্ত ২০১০ সালের ১৫ই জানুয়ারি ভারতের আকাশে বলয়গ্রাসের স্থায়িত্ব ছিল ১১ মিনিট ৮ সেকেন্ড। ফের ভারতের আকাশে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন দেখা যাবে ২০৩১ সালে।
তবে খালিচোখে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন দেখা একেবারেই উচিৎ নয় বলে জানিয়েছেন সোয়ানের সম্পাদক দেবাশিষ সরকার। তিনি বলেন, সূর্যগ্রহন দেখার জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন এক্সরে প্লেট ও বাজারের সস্তা বাহারি চশমা। এগুলো একেবারেই চোখের জন্য নিরাপদ নয়, বরং এগুলো চোখে লাগিয়ে সূর্যের দিকে তাকালে অন্ধত্ব নেমে আসার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে এক্ষেত্রে স্বীকৃত সেফ সোলার ফিল্টার ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত।
করোনা আবহের মাঝেই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহনকে প্রত্যক্ষ করার জন্য মুখিয়ে আছে গোটা ভারতের সাথে উত্তরবঙ্গও। তবে উত্তরবঙ্গে বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহনের সাক্ষী থাকতে মেঘ বাধা সৃষ্টি করে কিনা এখন সেটাই দেখার।