নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রামের অনগ্রসর মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য শুরু হয়েছে নারকেল, সুপারি, তেজপাতা, লেবু, আদা, গোলমরিচ প্রভৃতির চাষ। সেখান থেকে সেসব গাছের চারা বিলি হচ্ছে। তার পাশাপাশি চলছে কাতল, রুই, মৃগেল, কই, মাগুর সিং সহ অন্যান্য রঙিন মাছের উৎপাদন। এছাড়া হাঁস-মুরগি চারা বিতরণ। শুকর প্রতিপালনও রয়েছে। এভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অনগ্রসর গ্রামীণ মানুষদের আর্থিক দিক দিয়ে এগিয়ে দিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির সাতভাইয়া কৃষি খামার গোটা রাজ্যে নজির তৈরি করেছে। পশু পালন এবং কৃষি কাজে গোটা রাজ্যে চারটে সফল কৃষি খামারের মধ্যে সেরা স্থান দখল করে নিয়েছে সাতভাইয়া কৃষি খামার। সুসংহত এলাকা বিকাশ নিগম বা কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এই ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এই সিএডিসির চেয়ারম্যান হলেন অলোক চক্রবর্তী। অলোকবাবু জানালেন, তাদের এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের মাধ্যমে গ্রামের মহিলারা শুধু স্বনির্ভর হচ্ছেন না, কিছু অতিরিক্ত অর্থও তারা রাজ্য সরকারের কোষাগারে জমা দিতে পারছেন। শিলিগুড়ি মহকুমায় মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি সমবায় সমিতি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে পশুপালন ও চাষবাসের ব্যতিক্রমী সব কাজ চলছে। আর এই কাজের মাধ্যমে রাজ্যের সকলকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষস্থানে চলে গিয়েছে সাতভাইয়া কৃষি খামার। অলোক চক্রবর্তী বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন কর্মসংস্থান হচ্ছে ব্যাপকভাবে। তারা আশা করছেন, আগামীদিনে আরো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। নকশালবাড়ির সাতভাইয়া কৃষি খামার তাদের উৎপাদন, কর্মদক্ষতা, রোজগার সহ অন্যান্য বিভিন্ন দিক বিচার করে এ শ্রেণীভুক্ত হওয়ায় তারা বেশ খুশি। শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ অর্থনৈতিক বিকাশের পাশাপাশি কালিম্পং জেলার দিকেও তাদের সিএডিসির নজর রয়েছে। তারা কালিম্পংয়ে একটি হলিডে হোম তৈরি করতে চান। তৈরি করতে চান মিনি ডেলার মতো একটি পর্যটনকেন্দ্র। তাছাড়া উলের সোয়েটার তৈরীর জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করবার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। ক্যাকটাস চাষ করবারও পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর ওই এলাকায় উলের সোয়েটার তৈরির বিশেষ কেন্দ্র একসময় ছিল, পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার তারা সেসব চালু করবার জন্য চিন্তাভাবনা করছেন বলে অলোকবাবু জানিয়েছেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—