অঙ্কনের নেশায় গোপা দে, দিল্লি থেকেও পেয়েছেন পুরস্কার

শিল্পী পালিত ঃ আজ আমাদের এই ওয়েবনিউজ পোর্টালের আত্মকথা বিভাগে মধ্যমগ্রাম থেকে নিজের কথা লিখে পাঠিয়েছেন শিল্পী গোপা দে—-
————
আমি গোপা দে। আমার ছোটবেলা থেকে আঁকতে খুবই ভালো লাগতো। প্রথমে নিজেই আঁকতাম।তারপর ৮২ সালে প্রথম আঁকার স্কুলে যাই । ওখানে চার বছর শেখার পরে নিজে বাড়িতে স্কুল খুলি। প্রথমে চারজন শিশুকে নিয়ে স্কুল শুরু করি। এইভাবে চোদ্দ বছর ওদেরকে শেখানোর পর ৯৬ সালে আমার বিয়ে হয়। তারপরে আমার স্বামীর বাইরে বি এস এফএ চাকরি হয়।আমি শিলিগুড়িতে চলে আসি। ওখানে আবার নতুন করে স্কুল খুলি।অনেক বড়ো বড়ো অনুষ্ঠান করেছি । আমি নিজেও অনেক বড়ো বড়ো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছি। গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের প্রফেসর শঙ্কর নাগ ; জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ; আরো অনেকে ছিলেন। তারপর আমি২০১১ সালে দিল্লিতে কলামেলা হয়েছিল তাতে পুরস্কার পাই । গানও আমার প্রাণ। তাই শিলিগুড়ি থাকাকালীন জয়িতাদির কাছে কিছুদিন শিখেছি। আবার আঠারো বছর পরে শিলং চলে যাই। ওখানেও স্কুল খুলেছিলাম। দারুন ভালো লাগতো। সব খাসিয়া, মণিপুরী, মিজোরামের ছাত্রছাত্রী ছিল। স্কুলেও শিক্ষকতা করেছি। এখন মধ্যমগ্রামের বাড়িতেও স্কুল করছি।এইভাবেই আমি আমার জীবনকে কাজে লাগাতে চাই। ধন্যবাদান্তে গোপা দে।

নন্দন কানন ( মধ্যমগ্রাম) ; পোস্ট অফিস — গঙ্গানগর