![Screenshot_20221017-101655_Facebook](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2022/10/Screenshot_20221017-101655_Facebook-678x381.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃরবিবার ১৬ অক্টোবর শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া জ্ঞানজ্যোতি বিদর্শন ধ্যান আশ্রমে ৪২তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। কঠিন চীবর দান বৌদ্ধদের একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এদিন ভিক্ষু সংঘকে চীবর দান করা হয়। চীবর শব্দের অর্থ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র। শতবর্ষের দান কিংবা পৃথিবীর সকল প্রকার দান একত্র করলে তার যে ফল তা একখানি চীবর দানের ফলের ষোলো ভাগের এক ভাগও নয় বলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন।তাদের মতে, এই দান জন্ম জন্মান্তরের সুফল প্রদায়ী।চীবর দান কথাটির সঙ্গে কঠিন শব্দটি যুক্ত হওয়ার কারন সম্পর্কে মহাবগ্গ গ্রন্থে বলা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আরও বলছেন,যে দিন চীবর দান করা হবে সেদিনের সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তুলা থেকে সুতা বের করে কাপড় বোনা,সেলাই ও রং করা, ধৌত করা ও সুকোনো, এসব কাজগুলি শেষ করে ওই সময়ের মধ্যেই এই চীবর ভিক্ষু সংঘকে দান করতে হবে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা বের করে চীবর তৈরি করা বেশ কঠিন তাই এ অনুষ্ঠানের নাম হয়েছে কঠিন চীবর দান। প্রবারনা পূর্নিমার পরদিন থেকে কার্তিকী পূর্নিমার পূর্ব পর্যন্ত একমাস ব্যাপী বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে এ কঠিন চীবর দানোৎসব পালিত হয়। প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারের মতো এবছর শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া জ্ঞানজ্যোতি বিদর্শন ধ্যান আশ্রমে ১৬ অক্টোবর রবিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করা হয়। জগতের সকল প্রানী সুখী হোক এই বার্তা নিয়ে এদিন বিদর্শন ধ্যান আশ্রমে সকাল থেকে নানান অনুষ্ঠান হয় বলে সেখানকার কর্মকর্তা তপন বড়ুয়া, চন্দন বড়ুয়া এবং প্রসেনজিৎ বড়ুয়া জানিয়েছেন। কলকাতা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন হায়দরপাড়ায়।ভগবান বুদ্ধের দর্শন স্মরন করার সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি ও ধূপকাঠি প্রজ্জ্বলন, গৌতম বুদ্ধের পুজো সবমিলিয়ে কঠিন চীবর দান উৎসব অন্য মাত্রায় পৌছয়
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)