নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ কেন ছেলেমেয়েরা আধ্যাত্মিকতার ভিতরে প্রবেশ করবে, নিজের ভিতরের আত্মজাগরন কেন প্রয়োজন তার ব্যাখা মেলে ধরলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সুপ্রিয় রায়।ভুগোলে অনার্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এম এ পাশ করেছেন সুপ্রিয়।শিলিগুড়ি আশিঘরে তাঁর বাড়ি। আনন্দমার্গের অনুগামী তথা ২৬ বছরের তরুন সুপ্রিয় এখন বিভিন্ন চাকরির কম্পিটিটিভ পরীক্ষাগুলোয় বসার অনুশীলন করছেন। কিন্তু তার ফাঁকেই কোথাও কোনো বিপর্যয়ের খবর পেলেই আনন্দমার্গ রিলিফ টিমের মাধ্যমে দুর্গত অসহায় মানুষের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন আজকের প্রজন্মের এই তরুন।সুপ্রিয়র কথায়,জীবনের উদ্দেশ্য শুধু ডিগ্রি অর্জন করে একটি ভালো চাকরি নিয়ে নিজের সুখ ভোগ নয়,জীবনের উদ্দেশ্য হলো নিজের ভিতরে শান্তি বা স্পিরিটকে অনুভবে করে অন্যের সেবা করা।সমাজ ও দেশের জন্য কিছু সেবা করে যাওয়া।সার্ভিস টু হিউম্যানিটি ইজ সার্ভিস টু গড। জীবনের সার্থকতা শুধু ডিগ্রি অর্জন করে সফলতা লাভ নয়,জীবনের সার্থকতা হলো গরিব অসহায় মানুষের সেবা করা নিঃস্বার্থভাবে।শিলিগুড়ি ভারত নগরের আনন্দমার্গ আশ্রমে শুক্রবার থেকে তিনদিন ব্যাপী এক ভলান্টিয়ার সোসাল সার্ভিস যুব প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সেখানেও নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে জীবনের উদ্দেশ্য মেলে ধরছেন এই মেধাবী ছাত্র। সুপ্রিয় ছেলেমেয়েদের বোঝাচ্ছেন,মদ বিড়ি গুটখা খৈনি সিগারেট বা অন্য মাদক সেবনের নেশা ত্যাগ করে ছেলেমেয়ে সৃজনমূলক নেশা করতে পারে।সে নেশা কবিতা বা সঙ্গীতের নেশা হতে পারে, সে নেশা বিভিন্ন গাছের পাতা সংগ্রহের নেশা হতে পারে। এরকম প্রচুর ভালো ভালো নেশা রয়েছে। মদ গাঁজার নেশা না করে সেই সব সৃজনমূলক ভালো ভালো নেশা করতে হবে ছেলেমেয়েদের। তার পাশাপাশি খেলাধূলার নেশাতো আছেই। তবে এসবের আগে নিজেকে ধ্যান প্রানায়াম এবং সুস্থ আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে নিজের ভিতরের স্পিরিটকে জাগিয়ে তুলতে হবে। নিজের ভিতর থেকে বিশুদ্ধতা তৈরি করতে হবে যাকে বলে সৎ মননশীলতা বা ইতিবাচক ভাবনা। মেধাবী সুপ্রিয়র এই উচ্চ ও গভীর ধ্যানধারনায় বহু শিক্ষার্থী উদ্বুদ্ধ। সমাজের জন্য কিছু করবার উপলব্ধি আসা শুরু হয়েছে অনেক ছেলেমেয়ের মধ্যে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—