শিশুদের ডিপ্রেশনের সমস্যা নিয়ে তৈরি হল মোরে আরো আরো আরো দাও প্রান

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ইদানীং নানান কারনে শিশুদের মধ্যে ডিপ্রেশন তৈরি হচ্ছে। মা বাবাকে পাশে না পাওয়া, পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পাওয়া, প্রেমে কষ্ট পাওয়া অথবা বন্ধুদের কাছে লজ্জিত হওয়ার ফলে শিশুরা মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে উঠছে ক্রমশ। আর নিজেদের কষ্ট কাওকে বলতে না পারার কারনে তারা সহজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এই সামাজিক সমস্যার ওপর তৈরি হল ডকু ড্রামা ” মোরে আরো আরো আরো দাও প্রান”।গত ৯ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ইউ টিউবের মাধ্যমে। ছবির পরিচালনা, সম্পাদনা এবং মিউজিকের কাজ করেছেন কলকাতা নিবাসী শান্তনু রায়চৌধুরী। চিত্র নাট্য লিখেছেন শিলিগুড়ি নবীন সেন রোড নিবাসী অর্পিতা রায়চৌধুরী। মূল চরিত্র সুমন হালদারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতা গড়িয়ার কৃষ্টি নাট্য দলের অভিনেতা অভিজ্ঞান খাটুয়া।সাউন্ড প্রডাকশনের কাজ করেছেন কলকাতানিবাসী অর্ক সেন।অ্যাপিসান ক্রিয়েশন এর প্রথম কাজ এই ডকু ড্রামা। চিত্র নাট্য লেখিকা অর্পিতা রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, কলকাতার বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পৃথ্বীশ ভৌমিকের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁরা বুঝতে পেরেছেন শিশুদের ডিপ্রেশনের সমস্যাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের সঠিক কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন। মা বাবাদের আরও নজর দিতে হবে সন্তানদের প্রতি।
শর্ট ফিল্মের নাম – মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ। শ্যুট হয়েছে – টালিগঞ্জ ,কলকাতার একটি বাড়িতে
পরিচালক – শান্তনু রায়চৌধুরী , অভিনয়ে -অভিজ্ঞান খাটুয়া , প্রযোজনা ও চিত্রনাট্য -অর্পিতা রায়চৌধুরী , শব্দ ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর -অর্ক সেন। ফিল্মের বিষয় -সুমন বড় একা, মা-বাবা থাকা সত্ত্বেও তার নিজেকে অনাথ মনে হয়। পড়াশোনায় মন বসেনা। সে খানিক তোতলিয়ে কথা বলে ,যে কারণে বন্ধু মহলে সে উপহাসের পাত্র। একদিন তার মনে হলো বেঁচে থাকাটাই অর্থহীন , নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে তার ব্যক্তিগত দুঃখ ,যন্ত্রনার ভিডিও নিয়েই মনস্তাত্বিক শর্ট ফিল্ম -“মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ ” ।
এর সাথে প্রখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ ড: পৃথ্বীশ ভৌমিকের বিশ্লেষণ ফিল্ম টিকে সম্পূর্ণতা দেয়।

রিলিজ হয়েছে – ইউ টিউবের মাধ্যমে।