নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শিলিগুড়ি চম্পাসারির সমর নগরে গীতা দেবী ছট পুজোর ঘাটে আগামী ২০ অক্টোবর সূর্য দেবতার মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে। সেদিন সেখানে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। আর এই মন্দির নির্মানের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন মুসলিম ভাইয়েরা।
রাজমিস্ত্রী মহম্মদ ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী। তার বাড়ি চম্পাসারি সমরনগর এলাকায়। মহম্মদ খুরশিদ আলমের বাড়িও সমরনগরে। তিনি পেশায় মার্বেল মিস্ত্রী। এরা সবাই সমরনগর গীতা দেবী ছট পুজো ঘাটের সূর্য মন্দির নির্মানে কাজ করলেন। কেও মার্বেল বসালেন, কেও মন্দির নির্মানের অন্য কাজ করলেন। তাদের পরিস্কার কথা, সম্প্রীতির কথা মাথায় নিয়েই তারা এই মন্দির নির্মানে এগিয়ে এসেছেন। তার সকলে হিন্দু মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন চান।
২০ অক্টোবর মন্দিরটির উদ্বোধন। তারপর ২২ অক্টোবর পর্যন্ত নানান অনুষ্ঠান রয়েছে। এরপর ২ নভেম্বর ছট পুজো। ওই ছট পুজো ঘাট কমিটির সভাপতি রমেশ শা দাবি করেছেন, রাজ্যে এরকম সূর্য মন্দির এই প্রথম। আর এই সূর্য মন্দির নির্মানেই নয়, এর আগে এই ছট পুজোর ঘাট নির্মানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মুসলিম ভাইয়েরা সম্প্রীতির এক নজির তৈরি করেন।
ওই ঘাটে এখন বছরের যে কোনও সময় যে কোনওদিন যে কোনও ভক্ত সূর্য দেবতার পুজো দিতে পারেন।
এই সূর্য মন্দিরে সূর্য দেবতার মার্বেল মূর্তিটি রাজস্থানের জয় পুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
গীতাদেবী ঘাট সমর নগরে শুরু হয় ত্রিশ বছর আগে। কিন্তু ঘাটটি পাকা করে নির্মাণ করা হয় ২০১৪ সালে। সেই ঘাটে এবারও শুরু হয়েছে ছট পুজোর প্রস্তুতি। ঘাট কমিটির সভাপতি রমেশ শা জানিয়েছেন, ছট পুজোতে এবারও তারা মহানন্দা সহ অন্যান্য নদী দূষনের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন। প্রচার হবে সামাজিক সচেতনতারও। তাদের সেই ঘাটে বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভেদ ভুলে ছট পুজোর আরাধনায় ব্রতী হন।