ইতিবাচক ভাবনা তৈরি করতে অনগ্রসর ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় অঙ্কন শিখিয়ে চলেছেন এই শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়ায় বাড়ি দেবমিতা দাশগুপ্তের। একজন স্কুল শিক্ষিকা দেবমিতা। শৈশব থেকেই তিনি ভালোবাসেন ছবি আঁকতে। এখনো সেই ছবি আঁকার নেশা চলছে। আর সেই নেশা এমনই যে দেবমিতা চান,রং তুলি এবং অঙ্কনের নেশা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ুক।আসলে দেবমিতা মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন, চিত্রাঙ্কন বা সৃজন কাজ সমাজে ইতিবাচক ভাবনা তৈরি করতে পারে। সেই ইতিবাচক ভাবনা তৈরির জন্য দিনরাত যুদ্ধ চলছে অঙ্কন শিক্ষিকা দেবমিতার।কিন্তু সমাজে পিছিয়ে পড়া বহু অনগ্রসর ছেলেমেয়ে রয়েছে যাদের মধ্যে সম্ভাবনা থাকলেও টাকার অভাবে অঙ্কন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। ফলে তাদের অঙ্কন প্রতিভা হারিয়ে যায় অচিরেই। সেই দিক থেকে দেবমিতা এক মহতি প্রয়াস শুরু করেছেন।বিনা পয়সায় তিনি অনগ্রসর ছেলেমেয়েদের অঙ্কন শিখিয়ে চলেছেন আনন্দময়ী কালিবাড়ি চত্বরে। সহযোগিতা করছে আনন্দময়ী কালিবাড়ি সমিতিও।মঙ্গলবার ১৫ই আগস্ট দিনটি স্মরনীয় করে রাখতে তথা শিশুদের মধ্যে দেশাত্মবোধ তৈরি করতে দেশপ্রেমের ওপর অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন দেবমিতা। আনন্দময়ী কালিবাড়ি চত্বরে সেই অঙ্কনের আসর বসে। কালিবাড়ির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর বিশ্বাস সহ অন্যরা সেই প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পূর্ণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। ভাস্কর বিশ্বাস বলেন,বিভিন্ন সৃজন কাজ থেকে শুরু করে সেবামূলক কাজে সবসময় প্রথম সারিতে রয়েছে শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালিবাড়ি। চারনকবি মুকুন্দ দাসের স্মৃতি বিজড়িত এই আনন্দময়ী কালিবাড়িতে একসময় বিপ্লবীরা সব লাঠি খেলার প্রশিক্ষণ নিতেন বলে শোনা যায়। প্রাচীন শিলিগুড়িতে ইংরেজ হটাতে পরোক্ষভাবে অন্যরকম এক দেশাত্মবোধক ভূমিকা ছিলো আনন্দময়ী কালিবাড়ির। সেই কালিবাড়ি আজও দেশাত্মবোধক এবং সেবামূলক নানা কাজ থেকে পিছিয়ে আসেনি। এদিনের সেই অঙ্কন প্রতিযোগিতা ঘিরে শিশু কিশোরদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা দেখা যায়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন অর্পিত দে সরকার।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —