মহানন্দা বাঁচাওয়ের আবেদন গ্রীন ট্রাইবুনালে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দিনকে দিন মরছে মহানন্দা নদী। দূষনে দূষনে জর্জরিত শিলিগুড়ির লাইফ লাইন মহানন্দা। তার চারপাশে বহু জবরদখল হয়ে আসছে।নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার বহু জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে নদীতে। এসবের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে লড়াই চালিয়ে আসছে শিলিগুড়ি মহানন্দা বাঁচাও কমিটি। এই কমিটির প্রধান পরিবেশপ্রেমী জ্যোৎস্না আগরওয়ালা। মহানন্দার চর দখল রুখতে এবং পরিবেশ সুস্থ রাখার ভাবনায় তাঁর উদ্যোগে সূর্যসেন পার্কের পাশে মহানন্দার ধারে উত্তরবঙ্গ পৌষ মেলাও হয়ে আসছে। সংস্কৃতির প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পৌষ মেলা।সেই মহানন্দার পরিবেশ নিয়ে পরিবেশপ্রেমী তথা আইনজীবী জ্যোৎস্না আগরওয়ালা এবার গত ১৯ জুন গ্রীন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি মহানন্দার ওই চরে পার্কিং, বিল্ডিং, হকারদের পুর্নবাসনের ঘোষণা করে পুরসভা। এরপরই জ্যোৎস্নাদেবী গ্রীন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হন মহানন্দা বাঁচানোর আবেদন নিয়ে। শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে জ্যোৎস্নাদেবী জানিয়েছেন, মহানন্দা একশন প্ল্যানের কাজ কতটা কি হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে মহানন্দা রক্ষায় কতটা কি হয়েছে তার পুরো রিপোর্ট বিভিন্ন বিভাগের কাছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানতে চেয়েছে গ্রীন ট্রাইবুনাল।এদিকে এ প্রসঙ্গে পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “নদী বা প্রকৃতি বা গাছ এগুলো নিয়ে আমার কারও কাছ থেকে পাঠ নেওয়ার ইচ্ছে নেই। কারণ আমি নিজে এই কাজটা ছোটবেলা থেকে করে এসেছি। লটাও আমি ভালো করে জানি।রাইসকে এনগেজ করেছে প্যারালাল রোড, রোড সাইড বিউটিফিকেশন এন্ড এভ্রিথিং নিয়ে। সারভে হচ্ছে। ডিটেইলস রিপোর্ট আসবে, তারপর কাজ করবে।স্টেটাস রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। পাশ দিয়ে মহানন্দা বয়ে যাচ্ছে এটা জানি।সূর্য সেন পার্কের পাশে মেলার উদ্যোক্তা একসময় আমি ছিলাম। আমি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে পার্কের ভিতরে অনেক সৌন্দযায়নের কাজ হয়েছে। “