ছোট গল্প ও কবিতা লেখার নেশায় পালিদেবী

শিল্পী পালিত ঃ আজ আমাদের এই ওয়েবনিউজ পোর্টালের আত্মকথা বিভাগে নিজের কথা মেলে ধরেছেন—
————
আমি পালি। পেশায় ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। ছোট থেকেই কল্পনার জগতে থাকতে ভালোবাসতাম, আর প্রচুর বই পড়তে ভালোবাসি। ছোটো থেকেই যেকোনো ধরনের বই। বাবা মা দিদি ও এক ভাই আর আমি ছোটোবেলা কেটেছে হাবড়া নামের এক মফস্বল শহরে। ওখানে হাবড়া গার্লস হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস। স্কুল জীবনে বক্তৃতা দিতে ও আবৃত্তি করতে ভালোবাসতাম কোনো অনুষ্ঠানে। গানের দিদিমণির সূত্রে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খুব ছোটো থেকেই যেতাম। পরবর্তীতে নানা কারণে গান শেখা হয়নি। আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল ছেলেমেয়েরা জীবনে কিছু করুক। তারপর কোলকাতায় বাকি পড়াশোনা আ্যকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে ইন্টেরিয়র ডিজাইন। তারপর নিজের ব্যবসা বিয়ে সন্তান এসবের মধ্যে সাংস্কৃতিক চর্চা হারিয়ে গেছিলো। একদিন আমার তিন বছরের ছেলেকে গল্প করছিলাম আবৃত্তি করার কথা, ছেলে বলল আবার করো। সেই শুরু, ওকে আবৃত্তি করে শোনাতে হত। এভাবেই একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা শুরু। মুলত ছোটো গল্প ও কবিতা লিখতে ভালোবাসি। আমার লেখা পড়ে অনেক পাঠক আমায় উৎসাহিত করেছেন লেখার জন্য। তারপর লহরী নামের একটি ওয়েব পোর্টাল শুরু হয় শিলিগুড়ি তে অভিজিৎ দাস ও রিয়া বাড়ুই এর সম্পাদনায়। সেখানে নিয়মিত লিখতাম , ওদের বিভিন্ন জায়গায় সাহিত্য সভায় গল্প পাঠ করতাম।কিছু পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয়। আমি আসলে একটু প্রচার বিমুখ। তারপর নন্দিনীদির সূত্রে তোমাদের সাথে পরিচয়।একটা উপন্যাস শুরু করেছি, তিনচার বছর ধরে লিখি। বিবাহ সূত্রে শিলিগুড়ির বাসিন্দা, বাবা মা ভাই দিদির অনুপ্রেরণা যেমন আছে তেমনি দুই ছেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সবার অনুপ্রেরণা আমার সাথে আছে , সবাই খুব সাপোর্ট করে আমার কাজে।
৩৪ রাজা রামমোহন রায় রোড হাকিম পাড়া, শিলিগুড়ি