নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়ি ঃঃ ওদের কেও চোখে দেখে না,কারও হাত বা পা নেই। কেও আবার মানসিক প্রতিবন্ধী। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার পরও ওদের আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।ওরা খুবই প্রান্তিক। ওদেরকে প্রতিদিন বাড়ি থেকে গাড়িতে চাপিয়ে স্কুলে নিয়ে আসেন স্কুলের শিক্ষিকারা। স্কুলে পড়াশোনার পর আবার বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসেন। শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার শরৎ বসু রোডে এভাবেই দিনের পর দিন চলছে শিলিগুড়ি উদয় নামের স্কুলটি। বিভিন্ন সমাজসচেতন ও সংবেদনশীল মানুষের নানান সহযোগিতায় রীতিমতো লড়াই করে চলছে স্কুলটি।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার পনের বছরের কিশোরী প্রিয়াঞ্জনা সাহার জন্মদিন ছিল। দশম শ্রেণীতে পড়ে প্রিয়াঞ্জনা। ওর বাবার নাম প্রানতোষ সাহা আর মা রেখা সাহা। এদিন মেয়ের জন্মদিনকে সামনে রেখে প্রানতোষবাবুরা শিলিগুড়ি উদয়তে সকালবেলা মিস্টি ও আঙুর প্রদান করেন। তারপর কেক কাটার ব্যবস্থা হয়। দুপুরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরকে সেখানে মাছমাংস, ডাল,সব্জি ও ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা হয়। অনুষ্ঠানে সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, তার স্ত্রী ব্রততী চট্টোপাধ্যায়, পরিমল সাহা, মানিক সরকার, নির্মল চক্রবর্তী, প্রিয়াংশু সাহা উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই এই অন্যরকম জন্মদিন পালনের তারিফ করেন। সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মূল স্রোতে ফেরাতে এ এক অন্যরকম প্রয়াস। শিলিগুড়ি উদয়ের পাশে সকলের দাড়ানো দরকার। ওই স্কুলে বিনাবেতনে কাজ করছে অনেক শিক্ষিকা। এদিন তাদেরকেও উপহার দেওয়া হয়।