- নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৯৬২ সালের ভারত চিন যুদ্ধে অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন প্রয়াত মেজর পরমবীর চক্র ধনসিং থাপা।তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রাইফেলসের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন।চিনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় তিনি অসম সাহসিকতার সঙ্গে একের পর এক চিনা সৈনিকদের ধরাশায়ী করেছিলেন। ফলে পরবর্তীতে ভারত সরকার তাঁকে বিশেষ সন্মান পরমবীর চক্র প্রদান করে।
সেই বীর যোদ্ধা পরমবীর চক্র মেজর ধনসিং থাপার একটি মূর্তি স্থাপন করার দাবি উঠেছিল অনেকদিন ধরে। শেষমেষ শিলিগুড়িতে তা নির্মাণ হতে চলেছে। মূর্তি তৈরির কাজ অর্ধেক সম্পন্নও হয়েছে। মূর্তিটি তৈরি করছেন মৃৎ শিল্পী ভূপেশ পাল।
পরমবীর চক্র মেজর ধনসিং থাপার জন্ম হয়েছিল ১৯২৮ সালের ২৮ এপ্রিল। তাঁর জন্মস্থান ছিলো হিমাচল প্রদেশের শিমলাতে। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন মহারাষ্ট্রের পুনেতে। দেশের জন্য তাঁর অসামান্য অবদান ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং গোর্খা সম্প্রদায় সবসময় কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরন করে। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসাবে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।
তাঁকে স্মরন করে
পরমবীর চক্র মেজর ধনসিং থাপা মূর্তি নির্মাণ সমিতি থেকে শিলিগুড়ি মাল্লাগুড়ির হনুমান মন্দিরের সামনে মেজর ধনসিং থাপার একটি মূর্তি বসানো হবে। সেই মূর্তির উচ্চতা হবে ১৩ ফুট। এ উপলক্ষে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ওই এলাকায় সরস্বতী পুজোর দিন ভূমি পুজো করা হয়। ভূমি পূজো করেছেন ডাক্তার সিদ্ধিরাজ শর্মা, লিটল এঞ্জেল স্কুলের ডিরেক্টর দীপক নিওপানে, সম্পাদক উত্তম গুরুং। এইভূমি পূজার জন্য সেখানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন সমাজসেবী ধনসিং থাপা কমিটির সভাপতি পদম ছেত্রী ও সহ-সভাপতি জ্ঞানেন্দ্র দাহাল, যশ গুরুং, দেবরাজ সোনার, শম্ভু রাই, সাবিন গুরুং, ডাক্তার আর পি শর্মা, গায়ত্রী শর্মা, তিলোত্তমা প্রধান, সুজাতা তামাং, সরস্বতী শেরপা সহ আরো অনেকে।পুরোহিত হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টিকা উপাধ্যায় এবং ধ্রুব উপাধ্যায়। আয়েজক কমিটির তরফে সমাজসেবী বিন্দু শর্মা এক বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে ওই খবর জানিয়েছেন। বিন্দুদেবী জানিয়েছেন, পরম বীর চক্র মেজর ধনসিং থাপার মূর্তি বসানোর পর তারা সেখানে আরো কিছু সামাজিক কর্মকান্ড করবেন এবং দেশপ্রেমের বার্তা যুব সমাজের মধ্যে বেশি বেশি করে ছড়িয়ে দেবেন। - বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
- https://youtu.be/VdPBYy5Sc0s?si=EBVi28ltJWbfCuee