বাঁদরেরা সব ছিনিয়ে নিয়ে গেলো চালের গুঁড়ো,এই গ্রামে বন্ধ হয়ে গেলো পৌষ পার্বনের পিঠে খাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তিতে পিঠেপায়েস খাওয়ার প্রবনতা আমাদের পরম্পরা।তাছাড়া এই শীতকালে পিঠাপুলির প্রচলন বহু ঘরে ঘরে। কিন্তু বাঁদরেরাও কি পৌষ সংক্রান্তি করতে চায়? নাকি শীত মরশুমে বাঁদরেরাও পিঠেপুলি খেতে ভালোবাসে? রসিকজনেরা এসব নানা প্রশ্ন করে রসিকতা করতেই পারেন। আসলে এমন কিছু ঘটনা ঘটলো জলপাইগুড়িতে যা দেখে এ ধরনের রসিকতা উঠে আসছে।
*সাতসকালে বাঁদরের দল হানা জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা কলোনী এলাকায়। বাঁদরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।*অবস্থা এমন হলো যে বাঁদরের উপদ্রবে পৌষ পার্বণের পিঠে খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। জলপাইগুড়িতে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর পাতকাটা কলোনি এলাকায় শতাধিক বাঁদর হানা দিলো। বিভিন্ন গৃহস্থ বাড়ির ঘরে ঢুকে পিঠে বানানোর চালের গুঁড়ো এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী নষ্ট করে নিয়ে তাঁরা চলে যায় বলে অভিযোগ।ফলে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।এলাকার বাসিন্দা সুব্রত মন্ডলের বক্তব্য, পিঠে খাবো বলে চালের গুঁড়ো এনেছিলাম। কিন্তু ইচ্ছে পূরণ হলো না।পিঠে খাওয়ার আগেই বাদরের দল ঘরে ঢুকে চালের গুঁড়ো এবং চালের প্যাকেট নিয়ে চম্পট দেয়। চালের গুঁড়ো সব সাবার করে বাঁদরের দল। বুধবার সাতসকালে বাঁদরের দলকে এলাকা থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন বাসিন্দারা। বনদপ্তরের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কয়েকদিন ধরে বাঁদরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার বাসিন্দারা।