নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়ি ঃওদের প্রায় প্রত্যেকেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এর প্লাটফর্মে ঘুরে বেড়ায় । কেউ আবার এদিক-ওদিক কাজ করে। কারো বাবা আছেতো মা নেই, কারো বাবা মা কেউ নেই। বিভিন্ন ট্রেনের কামড়া ঝাড় দিয়ে ওদের কেও পয়সা রোজগার করে। তবে তীব্র অভাব থাকলেও ওদের আছে সততা। ট্রেনের মধ্যে কোনও যাত্রীর কোন জিনিস খোয়া গেলে ওরা তা ফিরিয়ে দেয়। অন্যের জিনিস হাপিস করে দিয়ে বড়লোক হওয়ার ওদের অনেকেরই বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। এইসব দুঃস্থ অসহায় শিশুদের সঙ্গে বুধবার সময় কাটালেন শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসিপি গৌরবলাল। শুধু সময় কাটানো নয়, ডিসিপি তাদের বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দিলেন। হাত মেলালেন ওইসব শিশুদের সঙ্গে। পিঠ চাপড়ে ওদের উৎসাহ দিলেন আরও পড়াশুনা করার জন্য। আর পুলিশের পদস্থ অফিসার এর কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে এই শিশুরা বেশ নতুন ভাবে চার্জ হয়ে গেল।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কেয়ারঅফ নীডি চিল্ড্রেন রাইটফুলি নারচারড এর উদ্যোগে এদিন মাটিগাড়া সায়েন্স সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় 170 জন প্লাটফর্ম শিশুকে। এদের সঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরসভার 4, 5 এবং 28 নম্বর ওয়ার্ড এর কিছু শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় মাটিগাড়া বিজ্ঞান কেন্দ্রে। বিভিন্ন বিজ্ঞান মডেল দেখানোর জন্যই ওদেরকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় আর সেই সময়ই সেখানে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের ডিসিপি তাদের উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে সায়েন্স সেন্টারের বিশ্বজিৎ কুন্ডু, তাপস কর্মকার সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। শিশুরাও বিজ্ঞান মডেল দেখতে পেয়ে বেশ খুশী। ওদের অনেকেই জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে প্লাটফর্মে থেকেই। কিন্তু চূড়ান্ত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ওদের স্বপ্নে বড় বাধা। ওদেরই স্বপ্নকে কিছুটা এগিয়ে দিতে কাজে নেমেছে কনসার্ন নামের সংস্থা।