নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ এখন কুমোরটুলি গেলে মৃৎ শিল্পীদের মুখে হতাশার কথা শোনা যায়,নতুন ছেলেমেয়েরা আর আসছে না প্রতিমা তৈরির কাজে।তারা লেখাপড়া শিখে আর মাটির কাজে আগ্রহ দেখাতে চাইছে না। কিন্তু শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার একটি বাড়িতে গেলে উল্টো ছবি দেখা যাবে। সে বাড়ির কেউ আগে মৃৎ শিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।কিন্তু চব্বিশ বছরের যুবকটির মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায় প্রতিমা তৈরির কথা।
তার নাম নয়নজ্যোতি দাসরায়। ছোটবেলায় খেলার ছলে মাটি ঘেঁটে তার প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু।সে কাজই পরবর্তীতে নেশায় রুপ নেয়।আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করলেও অবসর সময়ে প্রতিমা তৈরির নেশা ছাড়তে পারেনি নয়নজ্যোতি। এবারে গণেশ প্রতিমা নির্মান দিয়ে তার কাজ শুরু।মোট পাচটি গণেশ প্রতিমা ও তৈরি করেছে। আর বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরি করেছে ষাটটি।বিভিন্ন সাজে তৈরি হয়েছে সব বিশ্ব কর্মা।দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছে ২৫ টি। একটি দুর্গায় মা দুর্গা সহ তার সন্তানেরা সকলে ঘোড়ায় চেপে মর্ত্যে আসছে। এইসব প্রতিমা তৈরির কাজ করার পর সেসব বিক্রি থেকে যে টাকা আসে তা দিয়ে সামাজিক কাজ করে নয়ন।গতবছর কনসার্ন হোমে অসহায় শিশুদের খাওয়াদাওয়া করিয়েছে। এবারেও কিছু করতে চায়।ওর মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শিপ্রা দাসরায় ওকে এই কাজে পুরো সহযোগিতা করে।