ঢাকা থেকে টিনের বাক্সে বোমা নিয়ে এসেছিলেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ঢাকায় তখন দাঙ্গা হয়েছে। থমথমে পরিবেশ সর্বত্র। চারদিক শুনশান। ঢাকা রেল স্টেশনে তখন ১৬/১৭ বছরের ঘোরাঘুরি করছে। কি সাহস তাদের! গন্তব্য বোমা সংগ্রহ করা। চারদিকে ইংরেজ পুলিশ, সাদা চামড়ার শাসন। তাই গোপনে কাজ করতে হচ্ছিল তাদের। পাছে কেও টের না পেয়ে যায়। অনেক কষ্ট করে ঢাকা পৌঁছেছেন। ঢাকায় বিপ্লবীদের আস্তানা ছাড়া আর কোথাও বোমা পাওয়া যায় না। তাই খুলনা জেলার বাগেরহাট মহকুমা থেকে ঢাকায় আসা।শেষে একটি ছোটো টিনের বাক্সের মধ্যে পনেরটির মধ্যে বোমা সংগ্রহ হয়।ইংরেজের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে অনেক সাবধানে ঢাকা থেকে বাগেরহাটে পৌছানো। ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তখন একেকজনের হাতে একেকরকম দায়িত্ব পড়েছিল। ঢাকা থেকে এক বাক্স বোমা সংগ্রহ করে আনা সেই কিশোরের ওপর দায়িত্ব পড়েছিল বাগেরহাট মহকুমা জেল এবং রেল স্টেশনে বোমা নিক্ষেপ করার।বেশ সুষ্ঠু ভাবেই সেই কিশোর জেল খানায় বোমা নিক্ষেপ করেছিল।কিন্তু রেল স্টেশনে আর বোমা নিক্ষেপ করতে পারেননি।তার আগেই তাঁকে পাকড়া করে ইংরেজ পুলিশ। সেদিনের সেই কিশোর আজ ৯৬ বছরের বৃদ্ধ। সেদিন তিনি ছিলেন পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী এক যোদ্ধা আর আজ বার্ধক্যে পৌঁছানো এক স্বাধীনতা সংগ্রামী।দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামী টিকেন্দ্রজিৎ মুখার্জি খবরের ঘন্টাকে রবিবার বলেন, ভারতবর্ষ স্বাধীন না পরাধীন, সেটাই আজও দেশের অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকার বহু মানুষ জানে না। স্বাধীনতা আর পরাধীনতা কি, সেটাই আজও গ্রামের বহু মানুষ জানে না।আর সবাই যখন এসব বিষয় জানবে ততই সার্থক হবে এই স্বাধীনতা দিবস পালন।
প্রসঙ্গত শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশ কয়েকবছর ধরেই গৃহবন্দি অবস্থায় জীবন কাটছে টিকেন্দ্রজিৎবাবুর।শিলিগুড়ি সারদা পল্লীতে তাঁর বাড়ি। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড় আন্দোলনেও তিনি অংশ নিয়েছেন।