শিল্পী পালিতঃ আজ আমাদের খবরের ঘন্টার আত্মকথা বিভাগে তুলে ধরা হলো শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার সোমা কর্মকারের কথা-
“আমি সোমা কর্মকার। এক মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম হলেও এক সময় আমাদের পূর্ব পুরুষরা ওপার বাংলার রংপুর জেলার দাঁড়িয়াপুর গ্রামের জমিদার ছিলেন। আমার ঠাকুর মা আসামের ধুবড়ির মেয়ে এবং তিনি খুব ভালো নৃত্য শিল্পী ছিলেন। পারিবারিক সুত্রেই গান বাজনার চর্চা ছিল। আমার মা আর বাবা খুব ভালো সেতার ও তবলা বাজাতেন। দিদা ও দাদুও ভালো রবীন্দ্র সঙ্গীত জানতেন। ছোটবেলা আমার মামা খুব অল্প বয়সে আমাকে কোলে নিয়ে গান শুনতেন আর অনেক সময় গজলের বাংলা মানে বোঝাতেন। আমার গানের প্রথম হাতে খড়ি বাড়িতেই, আমার কাকুর বন্ধু বাবলু রায়ের হাতে। এরপরে আমার কাকুও নিজে তবলা বাজাতেন ও গানও করতেন। কাকু এখনো বাড়িতে গান করেন ও তবলা বাজান ।
আমি শিলিগুড়িতে শ্রীমতি সুমনা দাস শর্মা মহাশয়ার কাছে বহু বছর হলো গান শিখে চলেছি। শ্রী অচিন্ত রায় ( লেবুদা) মহাশয়ের কাছে তিন বছর গান শিখেছি। শ্রী বিশ্বরুপ ঘোষ দস্তিদার মহাশয়ের কাছে সাত বছর ধরে গান শিখেছি। ওনার পরিচালনায় অনুষ্ঠান করেছি। কিছু সমস্যার জন্য বর্তমানে আমার গান শেখাটা বন্ধ আছে। শ্রী বিশ্বরূপ ঘোষ দস্তিদার মহাশয়ের কথা ও সুরে ইউটিউবে আমার দুটো গান আছে। আমি প্রায় তিন বছর কলকাতার শ্রী বিপ্লব মুখার্জি মহাশয়ের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিচ্ছি। এছাড়াও ছয় মাস হল আমি কলকাতার একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়ে ভয়েস ট্রেনিং নিচ্ছি।
সঙ্গীত আমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। দিনের অনেকটা সময় গান শুনে ও গান করেই কাটাই। আমি শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে অনেকবারই অনুষ্ঠান করেছি। সেভাবে কেউ যদি আমাকে সঙ্গীতের জন্য আমন্ত্রণ জানান আমি নিশ্চয়ই গাইব। ভবিষ্যতে আমি একজন পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী হয়ে উঠতে চাই। এটাই আমার কামনা। ধন্যবাদ সকলকে।”
সোমা কর্মকার। হাকিম পাড়া।শিলিগুড়ি।