রেগুলেটেড মার্কেটের পর দশ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিলিগুড়ির চম্পাসারি বাজার

নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ১৫ জুনঃ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিলিগুড়ি পুরসভা সহ সংলগ্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি পুর সভা এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০ ছুই ছুই। করোনা সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের পাইকারি মাছ, ফল এবং সবজির বাজার ১ সপ্তাহের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। এবার করোনা সংক্রমন রোধে আগামী বুধবার থেকে শিলিগুড়ির অন্যতম বৃহৎ চম্পাসারি বাজার ১০ দিনের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন।

শিলিগুড়ি পুর সভা এলাকায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে জরুরি বৈঠকে বসেন শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন সহায় এবং শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া। ডাকা হয় শিলিগুড়ি চম্পাসারি মার্কেট এবং শিলিগুড়ি বিধান মার্কেট কমিটির প্রতিনিধিদেরও। বৈঠকে উপস্থিত হন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল।

বৈঠক শেষে শিলিগুড়ি পুর সভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া জানান, পুর সভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং সংলগ্ন এলাকায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা পুরসভার অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেকটা বেশী রয়েছে। তাই ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত চম্পাসারি মার্কেট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে চম্পাসারি মার্কেট বুধবার থেকে ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটের ফল এবং সবজি বাজার দু তিন দিনের মধ্যেই মূল জায়গা থেকে সরিয়ে শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিধান মার্কেট কমিটি তাদের তরফে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে বাজার এলাকায় করোনা বিধি নিয়ন্ত্রনে কড়া নজরদারি রাখবে।

শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন সহায় এদিন আরও জানান, রেগুলেটেড মার্কেট বন্ধ করার পরও বেশ কিছু ব্যবসায়ী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা সংক্রমন রোধে এই ধরনের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।