১৪২৯কে স্বাগত জানাতে চারদিকে উন্মাদনা, মিস্টি ইলিশে বাংলা যেন মধুময়

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ গোটা বাংলা শুক্রবার ভোর থেকে নববর্ষ ১৪২৯কে স্বাগত জানানোর নানান কর্মসূচিতে মেতেছে। এই নববর্ষ উৎসবে সামিল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গও। খবরের ঘন্টাতেও প্রচুর খবর এসে পৌচেছে। সব পরিকাঠামো না থাকায় সব খবর একদিনে পোস্ট করা যাচ্ছে না। তবে এরমধ্যেই সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে যতটা সম্ভব খবরগুলো প্রকাশ করার প্রয়াস চলছে। নববর্ষ উপলক্ষে শিলিগুড়ি শহরে শুক্রবার সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে। ব্যবসায়ী শ্রেণী নতুন বছরের জন্য খুব অপেক্ষা করে। নববর্ষ উপলক্ষে সকাল থেকেই বাজারগুলো ছিলো জমজমাট। গত কয়েকদিন ধরেই নববর্ষ উপলক্ষে গণেশ লক্ষ্মীর প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, হকার্স কর্নার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন। সকাল থেকেই প্রতিটি দোকানে চলছে পুজো। প্রচুর গ্রাহকও আসছেন। নগরীর অনেক মন্দিরে নববর্ষ উপলক্ষে পূজা পাঠেরও আয়োজন করা হয়। সবাই চায় নতুন বছরটা ভালোভাবে শুরু হোক। যাতে তার সারা বছর ভালো যায়। মিষ্টির দোকানে আজ প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাজারে মাছের বাজার চড়া হলেও ইলিশ মাছ কেনায় কোনো খামতি ছিলো না। মহামারীর কারণে গত দুই বছর ধরে মানুষ ধুমধাম করে নববর্ষ উদযাপন করতে পারেনি। কিন্তু এখন করোনার ঘটনা একেবারেই কমে গেছে। আর এই কারণেই এবার সবাই আড়ম্বরে নববর্ষ উদযাপন করছে। শিলিগুড়ি পুরসভা এদিন নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। তার সঙ্গে চলে বৃক্ষরোপন। এখন দেখতে থাকুন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে নববর্ষের অনুষ্ঠান। খবরের ঘন্টা আপনাদের সকলকে শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানায়।
#জলপাইগুড়িতে_নববর্ষ_বরন
পয়লা বৈশাখ ও হালখাতা উপলক্ষে জলপাইগুড়ি শহরে এবার দেখা যায় অসংখ্য মানুষের ভিড়। বিভিন্ন মন্দিরগুলোয় পুজো দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই দেখা ‌যায় লম্বা লাইন। গত দু’বছর করোনা মহামারীর আতঙ্কের জন্য গৃহবন্দী ছিলেন সকলেই। ফলে নববর্ষ বরন অনুষ্ঠান সেভাবে হয়নি।
#ডালখোলায়_বর্ষবরণ
উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা পৌরসভা এলাকায় শুক্রবার “কন্ঠস্বর” এর পক্ষ থেকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডালখোলা পোষ্ট অফিস থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়। ডালখোলা টাউন হলে সেই শোভাযাত্রা শেষ হয়। নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়েছে।ওই শোভাযাত্রায় ডালখোলা পৌরসভার প্রাক্তন পৌর-প্রশাসক তথা ৪নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তনয় দে (পিংকু), ১১নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর গোপাল রায়, ৭নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর মৌমিতা বর্মনের প্রতিনিধি জনাব ওয়াসিম আকরাম (বিক্কি) অংশ গ্রহণ করেন।