ভাওয়াইয়ার সুরে বহু মানুষ নেচে উঠলেন তরুন তীর্থের মাঠে,সংবর্ধিত ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা ভাওয়াইয়া শিল্পী সুমিত্রা রায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রয়াত প্রতিভাবান ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী আজিমুদ্দিন মিঞা ভাওয়াইয়া
সঙ্গীত তথা লোকগানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে গিয়েছেন। আজিমুদ্দিন মিঞা ছিলেন আকাশবাণীর নিয়মিত ভাওয়াইয়া শিল্পী। ভাওয়াইয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে আজিমুদ্দিন মিঞা তৈরি করেছিলেন মেঠো সুর সঙ্গীতালয়। শিলিগুড়ি ভারত নগরে মেঠু সুর সঙ্গীতালয়ের প্রধান কার্যালয়। প্রয়াত ভাওয়াইয়া শিল্পীর অবর্তমানে তারই পুত্র সাত্তারুদ্দিন আহমেদ ভাওয়াইয়া গান তথা লোকসঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর এই ভাইয়াইয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গ হিসেবে রবিবার ১৪ই জানুয়ারি আজিমুদ্দিন মিঞাকে স্মরণ করে শিলিগুড়ি ভারতনগরের তরুণ তীর্থ ক্লাব ময়দানে আয়োজন করা হয় মিলাপ অনুষ্ঠানের। সেখানে বিভিন্ন ভাওয়াইয়া শিল্পী তথা লোকসঙ্গীত শিল্পীরা তাদের লোকগান পরিবেশন করেন। মেঠো সুর সঙ্গীতালয়ের শীতকালীন আনন্দঘন মুহুর্তে সামিল হতে এদিন সেখানে শিল্পী,সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের দেখা যায়। আর তার নাম দেওয়া হয় পৌষালী বৈঠক। এই অনুষ্ঠানের মূল পরিচালনায় ছিলেন বিখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী সাত্তারউদ্দিন আহমেদ। সেখানে সাত্তারুদ্দিন আহমেদের হাতে তৈরি অনেক শিল্পী তাদের সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হয় ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা ভাওয়াইয়া শিল্পী তথা ধুপগুড়ি নিবাসী সুমিত্রা রায়কে।তার সঙ্গে কোচবিহার নিবাসী প্রবীন সঙ্গীত শিল্পী বুলবুল দাসকেও সেখানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। শিলিগুড়ির পরিবেশপ্রেমী ও সমাজসেবী সুজিত কুমার রাহাকেও সেই অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা জানানো হয়। খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপি ঘোষকে মহম্মদ আজিমুদ্দিন মিঞা স্মারক সম্মান তুলে দেন শিল্পী সাত্তারউদ্দিন আহমেদ। সেই সময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত সঞ্চালক আকাশবাণী খ্যাত অতনু ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। নাচে গানে এক অন্যরকম পরিবেশ সেখানে তৈরি হয়। ভাওয়াইয়া গানের সুরে অনেকেই সেখানে নৃত্য করতে থাকেন। ভাওয়াইয়া আসলে উত্তরবঙ্গের মাটির গান। ভাওয়াইয়া হল প্রাণের গান। ভাওয়াইয়া বা অন্য লোকসঙ্গীত মানুষের মন প্রাণকে ভেতর থেকে নাড়া দেয়। এদিন তরুণ তীর্থের মাঠের সেই অনুষ্ঠান প্রানবন্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন শিল্পী,সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য সকলেই সাত্তারুদ্দিন আহমেদের প্রতি কি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। তবে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মিলাপ উৎসব কমিটির সভাপতি প্রাণকুমার দাস হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়। শিল্পী সাত্তারউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বিশেষ সংবর্ধনা ছাড়াও আরও অনেককেই সন্মাননা প্রদান করা হয়। সবমিলিয়ে ৭৫০ এরও বেশি অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—