নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা রাজ্য তো বটেই এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের প্রাক্তনীরা। বিভিন্ন উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত বয়েজ হাই স্কুলের প্রাক্তনীরা। রাজ্যের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাই স্কুল হলো এই শিলিগুড়ির বয়েজ হাই স্কুল। ঐতিহ্যমন্ডিত স্কুলটি প্রতিবছরই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে সেরা সব ছাত্রদের উপহার দিয়ে আসছে রাজ্যের মেধা তালিকায়। ১৯১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা ধরে নেওয়া হলেও ১৮৯৮ সালে কার্যত স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এমন কোন বছর নেই যে এই স্কুল ভালো ছাত্র উপহার দিয়েছে। আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বহু বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, প্রশাসনিক আধিকারিক সহ বিভিন্ন উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত কৃতী মানুষদের উপহার দিয়েছে এই স্কুল। প্রয়াত প্রধান বিচারপতি আনন্দময় ভট্টাচার্য এই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। এবারে ১৯১৮ থেকে ২০২৪– পুনর্মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হলো এই স্কুলে।গত ১৩ এবং ১৪ই জানুয়ারি। এই উপলক্ষে শোভাযাত্রা ছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা ছাড়াও আরও বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। পুরনো দিনের প্রাক্তনীরা স্কুলে এসে পুরনো দিনের আড্ডা আনন্দে মেতে ওঠে। স্কুলে তৈরি হয় ভিন্ন ধর্মী পরিবেশ। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, পুরনো দিনের গল্পে ফিরে যাওয়া যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় প্রাক্তনীরা। এই উপলক্ষে দেওয়াল পত্রিকা যেমন প্রকাশিত হয় তেমনই স্যুভেনির –পুনর্মিলন উৎসব কথা প্রকাশিত হয়। সেখানে বহু প্রাক্তনী এবং কৃতী মানুষদের লেখা রয়েছে। স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শিলিগুড়ির মহানাগরিক গৌতম দেব স্যুভেনিরে লিখেছেন—” কিছু পুরনো আবেগ ও স্মৃতির হাতছানি”। বিশিষ্ট লেখক সৌমেন নাগ লিখেছেন, “শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল আমার গর্ব”। অভিজিৎ মজুমদার লিখেছেন,” আমার স্কুল আমাদের ইস্কুল”। লেখক অশেষ কুমার দাস লিখেছেন,” সত্তর দশকের প্রধান শিক্ষক। “কৃতি সাংবাদিক চিত্রদীপ চক্রবর্তী লিখেছেন,” রণে বনে জঙ্গলে শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল”। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌরী শংকর ভট্টাচার্য লিখেছেন,” “শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল।” সেই স্যুভেনিরে কবিতা লিখেছেন ধনঞ্জয় পাল, কৃষ্ণেন্দু দাস, সৌমিত্র চন্দ্র নিয়োগী, গৌতম রায়, বিধায়ক চন্দ্র দাস, অভিজিৎ বাগচী, সুদেব বিশ্বাস।লেখা রয়েছে আরো অনেকের। ১৪ই জানুয়ারি শেষ দিনে অঞ্জন দত্তের অনুষ্ঠান স্কুল চত্বরে অন্য পরিবেশের জন্ম দেয়। তার আগে স্কুলের ওপর ডকুমেন্টারি ভিডিও দেখানো হয়। শিল্পী জয়িতা চক্রবর্তীও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সবমিলিয়ে গত দুদিন ধরে শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল সাধারণ মানুষের কাছে আরো আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —