স্বাস্থ্যভিত্তিক শিল্পে গোটা দেশে দৃষ্টান্ত হতে পারে শিলিগুড়ি, বিরাট আলোচনার আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে বিরাট বড় স্বাস্থ্যভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ লাগোয়া দেশ নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চিকিৎসা খাতে কোটি কোটি কোটি চলে যাচ্ছে দক্ষিন ভারতের রাজ্যগুলোতে। অথচ শিলিগুড়িতে আধুনিক চিকিৎসার বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হলে দক্ষিন ভারতের রাজ্যগুলোতে চলে যাওয়া টাকার বিরাট অংশ শিলিগুড়িতে চলে আসতে পারে। এতে পশ্চিমবঙ্গের রাজস্ব বৃদ্ধিও ঘটবে প্রচুর পরিমানে।তার পাশাপাশি প্রচুর বেকারের কর্মসংস্থান হবে। আজ যারা উত্তরবঙ্গ থেকে কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে সেই প্রবনতাও আটকে যাবে। আর এইসব চিন্তা থেকেই আগামী ১৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইন্ডিয়া হেল্থ কেয়ার সামিট। পলিসি টাইমস চেম্বার অফ কমার্স এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা।দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর নিবাসী যুবক আক্রাম হক বহু বছর ধরেই দিল্লিতে কাজ করছেন। তিনি পলিসি টাইমসের ডিরেক্টর। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে আক্রাম হক জানান,তিনি কাজের সূত্রে দিল্লি বা অন্য রাজ্যগুলোতে ঘুরে দেখেছেন, বাংলা থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়া শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুন।তাই তিনি উপলব্ধি করেন যে উত্তরবঙ্গে এমন পরিবেশ তৈরি হোক যাতে এখানকার লোকদের কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রবনতা কমে আসে। সেই ভাবনা থেকে শিলিগুড়িতে ইন্ডিয়া হেল্থ কেয়ার সামিট করার ওই প্রয়াস। সেই সামিটে স্বাস্থ্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবেন অনেক বিনিয়োগকারী।তার পাশাপাশি অনেক ভি আই পি উপস্থিত থাকবেন। সেখানে শিলিগুড়ির বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা নিউরোসার্জন ডাঃ মলয় চক্রবর্তী, ডাঃ কে সি মিত্র সহ আরও কয়েকজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই সামিট সম্পর্কে রাজ্যের শিক্ষা রত্ন তথা বিশিষ্ট ব্যতিক্রমী শিক্ষক সামসুল আলম জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের জন্য এ এক অসাধারণ প্রয়াস।বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে।কিন্তু সেসব সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যদি এই প্রয়াস সফল হয় তবে প্রচুর কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনই অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে। সমাজ কর্মী খাদিমূল ইসলামও এই প্রয়াসের তারিফ করেন।