অভিজিৎ হাজরাঃ হাওড়া জেলার পাতিহাল গ্ৰামের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী বন্দনা পাল পুজোর জন্য ঘট তৈরী করতেন।এই কাজটি যেহেতু সিজিন্যাল , তাই বছরের বেশির ভাগ সময়ে জীবিকা নির্বাহের সমস্যা হতো তাঁর ।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১০ সালে তিনি পেইন্টেড পটগুলি বিক্রির নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার মনস্থির করেন। এরপর তিনি “ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (ভি,এফ,এস)সংস্থায় যোগাযোগ করেন।ওই সংস্থা থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন। বর্তমানে বন্দনা পাল একজন সফল উদ্যোক্তা।আজ তিনি স্বামীর পাশাপাশি পরিবারের খরচ সমান ভাবে বহন করছেন, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও শেখাচ্ছেন।এমনকি নিজের গ্ৰামে বাড়ি তৈরি করেছেন।ব্যবসা বাড়ানোর জন্য এক বছর আগে তিনি “ভি,এফ,এস “থেকে অষ্টম বারের জন্য ৮০,০০০(আশি হাজার) টাকা ঋণ নিয়েছেন।বন্দনার মতো অসংখ্য গরীব মহিলা “ভি,এফ,এস”থেকে ঋণ নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। অনেক মহিলাই এখন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন।”ভি,এফ,এস সংস্থাটি যৌথ দায় গোষ্ঠী(জে,এল,জি)মডেলের অধীনে শুধুমাত্র মহিলা ঋণগ্ৰহীতাদের ক্ষুদ্র ঋণের পরিষেবা দিয়ে থাকে।
“ভি,এফ,এস” এর এম,ডি,সি,ই,ও কুলদীপ মাইতি বলেন, মহিলাদের যদি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করা হয়, তাহলে তারা সমাজের উন্নয়নের প্রতিনিধি হিসাবে করেন দায়িত্ব সহকারে। নিজেদের ব্যবসায়ের মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের পাশাপাশি,প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রোজগার সৃষ্টি করে, সমাজেরও উন্নয়ন করে থাকেন। এছাড়াও সন্তান-সন্ততিদের লেখাপড়া শিখিয়ে,ভাল শিক্ষা দিয়ে পরবর্তী প্রজম্মকে ক্ষমতায়িত করে তোলেন। একটি সমাজ তার মহিলাদের সঙ্গে কতটা ভাল আচরণ করে সেটাই সেই সমাজের সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক।”ভি,এফ,এস বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার,আসাম,ওড়িশ্যা,ঝাড়খন্ড,সিকিম,মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্রিশগড়, মেঘালয় ও হরিয়ানা জুড়ে প্রায় ৫ লাখ মহিলা ঋণগ্ৰহীতাদের সঙ্গে কাজ করছে।