নিজস্ব প্রতিবেদন : শরীর ও মন ভালো রাখতে সঙ্গীতের জুড়ি নেই। আর সঙ্গীতের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। গবেষণায় প্রমাণিত, উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আমাদের মস্তিষ্কের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শ্রোতারা তাদের ক্লান্তি অবসাদ দূর করতে পারেন মন দিয়ে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শোনার অভ্যাস করলে। অন্তত শনিবার এমন বক্তব্যই জানালেন উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত সেতার শিল্পী তথা নর্থবেঙ্গল ক্ল্যাসিক্যাল আর্টিস্ট ফোরামের অন্যতম কর্মকর্তা পবিত্র চ্যাটার্জি। এদিন বিকেলে শিলিগুড়ি চয়ন পাড়ায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠান হয়। তাতে পবিত্রবাবুর পরিচালনায় অপূর্ব ব্যানার্জি, শুভেন্দু নন্দী, রত্না নন্দী, রূপলেখা চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য শিল্পীরা তাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মেলে ধরেন। প্রখ্যাত এংকার জুঁই ভট্টাচার্য সেই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের ওপর আলোচনা হয়। স্বামীজীর চেতনায় সঙ্গীত বা সঙ্গীত নিয়ে স্বামীজীর ভাবনা এই বিষয়ে সেখানে আলোচনা হয়। সেতার শিল্পী পবিত্র চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জুড়ি নেই। তারা এক সময় স্কুলগুলোতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ওপর কর্মশালা শুরু করেছিলেন। তার পাশাপাশি সামাজিক কাজও শুরু করেছিলেন। ২০১৭ সালে তাদের ফোরাম তৈরি হয়। কিন্তু সবকিছু এতদিন বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল করোনার জেরে। আবার তারা নতুনভাবে শুরু করছেন। তারা চান, স্কুলে স্কুলে কর্মশালার মাধ্যমে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে ছেলেমেয়েদের মধ্যে আরো বেশি করে পৌঁছে দিতে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা মননশীলতা আরো বাড়িয়ে দেয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এক কথায় সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে এবং মানুষকে ভালো রাখে।।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন–