
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা পিঠে। পিঠেতেও এবার করোনা সুরক্ষা কবচ।কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে তৈরী হোলো কোভিড পিঠে। ঘটনায় জোর হৈচৈ জলপাইগুড়িতে।কোভিড প্রতিষেধক তুলসি, লবঙ্গ সহ অন্যান্য ভেসজ দ্রব্য দিয়ে পিঠে বানিয়ে জামাইকে আপ্যায়ন করলেন শাশুড়ি। অভিনব পিঠে খেয়ে আপ্লূত জামাই।

করোনা আবহে এবারের পৌষ পার্বন। পাছে বাড়ির লোকেরা পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে মেতে যাতে কোভিড আক্রান্ত না হয়ে পড়ে তাই এবার পিঠেতেও কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা গেলো জলপাইগুড়ি পোড়া পাড়া এলাকার এক গৃহবধূকে।
কি এই করোনা পিঠে?এই পিঠে আসলে অনেকটা মালপোয়ার মত। ঢেকি ছাটা চালের গুঁড়োর সাথে সুজি, চিনি ইত্যাদি তো আছেই। এরসাথে কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে এতে মিশানো হয়েছে তুলসীপাতা, লবঙ্গ,দারচিনি,গোলমরিচ ও আরো কিছু ভেষজ জিনিস। যা খেলে সর্দিকাশি ইত্যাদি কম হবে। গৃহবধূ শেফালী রায় জানালেন, ভ্যাক্সিন এসেছে ঠিকই। কিন্তু করোনা বিদায় নেয়নি। তার উপর ছেলের বিয়ে দিচ্ছি।তাই বাড়িতেও আত্মীয়রা এসেছে। সেই কারনে আমি বুদ্ধি খাটিয়ে বাড়িতে তৈরী ঢেকি ছাটা চালের গুঁড়োর সাথে তুলসিপাতা,লবঙ্গ,গোলমরিচ, দারচিনি ইত্যাদি মিশিয়ে মুখে মাস্ক পড়ে পিঠে বানালাম। যাতে সর্দিকাশি ইত্যাদি না হয়। খেয়ে সবাই খুব খুশি।
বাড়ির জামাই নিখিল খা অভিনব পিঠে খেয়ে জানালেন, এতে লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারচিনি ইত্যাদি মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে পিঠের স্বাদ আরো সুন্দর হয়েছে। পিঠে থেকে দারুণ সুগন্ধ বের হচ্ছে। এইসব ভেষজ জিনিস খেলে সুস্থ থাকা যায়। সবাই যদি এভাবে পিঠে বানায় তবে সুস্থ থাকতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন জলপাইগুড়ির শহর সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় লুপ্ত হওয়া ছাম গাইন বা ঢেকি দিয়ে দিয়ে চাল গুড়ো করে পিঠে পুলি তৈরি করার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। একইসাথে গরুর গায়ে চালের গুঁড়া দিয়ে আলপনা একে গরুকে সাজাবার পাশাপাশি পূজো দিতে দেখা যায় গৃহবধূ দের।