হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করে এই শিশু,চিকিৎসার জন্য অর্থ নেই, মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে আসুন

বাপি ঘোষ ঃ দেবী পক্ষের সূচনাতো হতে চলেছে। আমরা জানি শিশু কন্যা বা বালিকাদের কুমারী হিসাবে পুজো করা হয়।তাই পুজোর মুখে আট বছরের এই শিশু কন্যা আরোহির কথা কি আমরা সবাই একটু চিন্তা করবো না?
আট বছরের শিশু কন্যা আরোহি ঢালি চলাফেরা করতে পারে না। হামাগুড়ি দিয়ে ও আজ দীর্ঘ ছবছর ধরে চলাফেরা করছে। শিলিগুড়ি আশ্রমপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকে আরোহি।ওর বাবার নাম অর্ঘ্য ঢালি আর মা এর নাম লাভলি ঢালি।ছবছর আগেও হাঁটতে পারতো আরোহি।কিন্তু হঠাৎ একদিন ওর বেদম জ্বর হয়,মুখ দিয়ে গ্যাজলা বের হয়।শিলিগুড়ির চিকিৎসকরা ধরতে পারেন নি কিসের থেকে সেই জ্বর হয়েছিল।আরোহির বাবামা সোনাগহনা সহ সর্বস্ব বিক্রি করে ওকে বিহারের পাটনায় নিয়ে যান।সেখানে চিকিৎসক জানান,দু’পায়ের গোড়ালির পাশে অপারেশন করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।সেই অপরেশনও হয়।কিন্তু সুস্থ হয় না আরোহি।নিস্পাপ শিশুর হতদরিদ্র বাবা-মা এর কাছ থেকে
টাকাপয়সা হজম করার পর সেই ব্যর্থ চিকিৎসক তখন বলেন,”এই শিশুকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।” কিন্তু অর্থ সঙ্কট এবং বেঙ্গালুরু কখনো না যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আজও বসে রয়েছেন আরোহির বাবা-মা। আরোহি এখন আর আগের মতো একা একা চলাফেরা করতে পারে না। কথা একটু আধটু বললেও তা প্রায়ই জড়িয়ে যায়। হামাগুড়ি দিয়ে ছ’বছর ধরে আরোহি ঘরে চলাফেরা করছে এই আশায়, কবে ও আর দশজনের মতো হাঁটতে পারবে।কবে ওর বাবা-মা বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বড় করুন সেই ছবি।বাবা অর্ঘ্য ঢালি এবং মা লাভলি ঢালি দিনরাত রাস্তার পাশে ঠেলা গাড়িতে চিকেন কাবাব বিক্রি করে চলেছেন।কিন্তু সেই অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায় তাঁরা নিজেদের দৈনন্দিন রুটিরুজির বন্দোবস্ত করতেই হিমশিম, শিশু কন্যা আরোহির চিকিৎসা করবেন কিভাবে? তাই তাঁরা সকলের কাছে মানবিক আবেদন জানাচ্ছেন। আরও দুঃখজনক যে আরোহীর জন্য প্রতিবন্ধী শংসাপত্র সরকারি হাসপাতালে সংগ্রহ করতে গেলে সেখান থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করা হয়? কেন সেই টাকা তাঁরা দেবে? আর সেই টাকা নেইও আরোহির বাবা-মার কাছে। তাই সকলেই এগিয়ে আসুন মানবিক মুখ নিয়ে। সকলের সাহায্যে আরোহি হামাগুড়ি দিয়ে নয়,নিজের পায়ের বলে চলাফেরা করুক।চলুন না সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাই,গুগল পে বা ফোন পে নম্বর 7718277189
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—