শিল্পী পালিতঃ নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই সঙ্গীত চর্চা করছে মন দিয়ে। এদের মধ্যে চন্দ্রতপার নাম উল্লেখ করতেই হয়। চন্দ্রতপা খুব ভালো গান করে। ভবিষ্যতে সঙ্গীত নিয়ে গবেষণামূলক কিছু কাজ করতে চায়। চন্দ্রতপার নিজের মুখেই শুনুন সব—-
—আমার নাম চন্দ্রতপা ভট্টাচার্য্য।আমি সংগীত নিয়ে বিশেষ চর্চা করি।আমার বাবা শ্রী ভাস্কর ভট্টাচার্য্য।তিনি West Bengal State agriculture marketing board এ কর্মরত।মায়ের নাম শ্রীমতী পলি ভট্টাচার্য্য।তিনি একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন,তবে বতর্মানে কর্মরত নন।আমার পরে আমার দুই যমজ ভাই,হিমাদ্রী ও হিমানীশ।ওরা B.Tech student ও একজন portrait artist ও অন্যজন guitarist।
শিলিগুড়ি শহরেই আমার জন্ম।আমি Margaret(s.n)English school এ পড়াশোনা করেছি।উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিলিগুড়ি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক(B.A)হয়ে কলকাতা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘Vocal music-Kheyal’ নিয়ে এবছরই স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছি।
আমার সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয়েছে আমার ঠাকুমা স্বর্গীয়া শঙ্করী ভট্টাচার্য্যের হাতে।তিনি একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও অসাধারন হারমোনিয়াম বাদক ছিলেন।তারপর প্রায় পাচ বছর বয়স থেকে আমার সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয় শ্রীমতী বর্ণালী বসুর কাছে ও আমার গুরুমা হলেন শ্রীমতী বর্ণালী বসু,আধুনিক গানের শিক্ষক ও গ্রুমার বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক শ্রী বিশ্বরূপ ঘোষদস্তিদার ও অন্যতম পথপ্রদর্শক বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক শ্রী পুলক সরকার,এছাড়া রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাগণ।
শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গ ছাড়া কলকাতায় রবীন্দ্র সদন,জোড়াসাকো,গ্যালারি গোল্ড,ICCR ও কলা মন্দির- এ অনুষ্ঠানের সুযোগ হয়েছে। এছাড়া আকাশবাণী,দূরদর্শণ ও Radio misty শিল্পী।
2014 সালে ‘Classical voice of India’ তে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম স্থানে ছিলাম ও সঙ্গীতের নানান বিষয়ে পুরস্কৃত হয়েছি।2018 সালে কলকাতার বিখ্যাত resonance studio,Aatman Audio থেকে আমার একটি অ্যালবাম প্রকাশ হয়।যার প্রকাশ হয় Cactus band খ্যাত সিধু -দার হাতে।
পি.এইচ.ডি দিয়ে সঙ্গীত গবেষণার ইচ্ছে রয়েছে,পাশাপাশি স্বপ্ন রয়েছে একজন play back singer হওয়ার।সেদিকে এগিয়ে চলতে চাই,রিয়ালিটি শো-তেও সুযোগ পাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
জীবনে চলা মানেই গান।তার থেকে নিজেকে আলাদা কখনোই ভাবতে পারব না।সব সময়ের বন্ধু।
গান ছাড়া লেখালেখি,কবিতা ও কিছু composition তৈরী করতে চেষ্টা করি।