নিজস্ব প্রতিবেদন :পরিবেশ বান্ধব সুতো তৈরি। সেই সুতো দিয়ে আকাশের বুকে পতপত করে উড়বে লাল নীল হলুদ সবুজ বেগুনি সহ আরও বহু রকমের ঘুড়ি। সরস্বতী পুজোর মধ্যে এরকমই এক ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির
তিস্তা নদীর ধারে নীল আকাশে এবার সরস্বতী পুজোর সময় ভেসে উঠবে শৈশবের স্মৃতি। সরস্বতী পুজোর দিন রঙ বেরঙের হরেক রকমের ঘুড়ি উড়বে নীল আকাশে। ঘুড়ি ওড়ানোর এই উৎসবের আয়োজন করেছে জলপাইগুড়ির একটি প্রকৃতিপ্রেমি সংস্থা।
একটা সময় পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলেই মাঠে ময়দানে ঘুড়ি নিয়ে ছুটতো শিশু কিশোরের দল। যদিও এখন ছেলেমেয়েরা স্মার্ট ফোন নিয়েই সময় কাটাতে ভালোবাসে। মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে তার মধ্যেই ডুব দিতে দেখা যায় তাদের। প্রকৃতির আনন্দ নিতে যেন তারা ভুলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ছেলেমেয়েদের আবারও মাঠমুখী করতে এই অনাবিল ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন। জলপাইগুড়ির ঘুড়ি কারিগর নিখিল বিশ্বাস ও নাথুরাম বাউল জানালেন, ছোটবেলায় নিজের হাতেই ঘুড়ি তৈরি করে উড়িয়েছি। এবার ঘুড়ি উৎসবের জন্য ঘুড়ি তৈরি করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। জলপাইগুড়ি প্রকৃতি প্রেমি সংস্থার কর্মকর্তা দীপাঞ্জন বকসির বক্তব্য, আমাদের এই ঘুড়ি উৎসবে নিষিদ্ধ চাইনিজ মাঞ্জা ও প্লাস্টিকের মাঞ্জা সুতো। করলা নদীর স্বচ্ছতা রাখার পাশাপাশি জলপাইগুড়ির জুবিলি পার্ক সংলগ্ন তিস্তা নদীর ধারে পশু, পাখি ও মানুষের যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। এজন্য স্বচ্ছতা বজায় রেখে পরিবেশ বান্ধব সুতো দিয়ে ওড়ানো হবে অসংখ্য ঘুড়ি। এই উৎসবের জন্য মোট ৫০০টি কাগজের ঘুড়ি এসেছে। ঘুড়ির ডিজাইনগুলোর নাম রয়েছে পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা, ময়ূরপঙ্খী, মুখপোড়া, চাপরাশ, চৌরঙ্গী ও বলমার। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে তৈরি বিশালাকার উড়োজাহাজ ঘুড়ি, চিল ঘুড়ি,
বক্স ঘুড়ি, ঝাপ ঘুড়ি ও ঢোল ঘুড়ি থাকছে। এই ঘুড়িগুলোর উচ্চতা হবে ৫ ফুট লম্বা ও দুই ফুট চওড়া। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর পাড়ে আকাশে উড়তে দেখা যাবে এই ঘুড়িগুলো। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দীপাঞ্জন বকসি আরও বলেন, আমাদের আশা জলপাইগুড়ির অসংখ্য উৎসাহী মানুষের ভিড় দেখা যাবে এই ঘুড়ি উৎসবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :